নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে আবারো বিতর্কের জন্ম দিলেন রেফারিরা। ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালের মতো তৃতীয় ম্যাচটিতেও রেফারিদের পক্ষপাতিত্বে ফলাফল নির্ধারণ হলো। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে সহকারী রেফারি হারুনের পক্ষপাতিত্বের কারণে ঢাকা আবাহনী ২-১ গোলে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয়। আর ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় গোপীবাগের দলটি। প্রথমার্ধে ব্রাদার্সের হাইতিয়ান মিডফিল্ডার অগাস্টিন ওয়ালসন দৃষ্টি নন্দন গোল করে দলকে এগিয়ে নিলেও দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীর বদলি মিডফিল্ডার জুয়েল রানা গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান। আর শেষ দিকে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা গোল করে আবাহনীকে জয় এনে দেন।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় ব্রাদার্স। তারা একের পর এক আক্রমণে আবাহনী রক্ষণভাগকে বিপাকে ফেলে। বিশেষ করে মিডফিল্ডার শফিকুল ইসলাম শফি ও হাইতিয়ান অগাস্টিন ওয়ালসনের যোগান দেয়া বলে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে ও মন্নাফ রাব্বি ভীতি ছড়ান আকাশী-হলুদদের রক্ষণদুর্গে। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাদার্স। এ সময় ডানপ্রান্ত থেকে শফির উঁচু পাস মাটিতে পড়ার আগেই ডি-বক্সের লাইনের উপর থেকে চমৎকার ভলিতে বল জালে জড়ান অগাস্টিন (১-০)। তার এই গোলটি সবার নজর কেড়েছে। ৪০ মিনিটেও ঠিক একই ধরনের আরেকটি শট করেছিলেন এই হাইতিয়ান। তবে এই শটে সফলতা আসেনি। প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে অগাস্টিন উঁচু শট নিলেও বল ফিস্ট করে ফেরান আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া ছিলো ব্রাদার্স। আবাহনীও সমতায় ফিরতে পাল্টা আক্রমণ চালায়। ফলে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ হয়ে ওঠে উপভোগ্য। তবে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৬৯ মিনিটে সমতায় ফেরে আবাহনী। এসময় পাল্টা আক্রমন থেকে একটি কর্ণার আদায় করে নেয় তারা। তাদের ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক কর্ণার করলে বক্সে বল পেয়ে বাঁম পায়ের প্লেসিং শটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বদলী মিডফিল্ডার জুয়েল রানা (১-১)। ৮০ মিনিটে এগিয়ে যায় আবাহনী। কিন্তু এই গোলটি নিয়ে বিতর্ক ছিলো। লি টাকের ক্রসে বামপ্রান্ত থেকে হেড নেন সানডে চিজোবা। ব্রাদার্সের মরোক্কান ডিফেন্ডার আব্বাস ইনুসাহ হেড করে বল বাঁচাতে চেষ্টা করলেও পারেননি। চিজোবার হেড ক্রসবারে লেগে গোললাইনে পড়ে। ব্রাদার্সের গোলরক্ষক উত্তম বড়–য়া বল ধরলেও রেফারি মিজানুর রহমান কিছুটা সময় নিয়ে গোলের বাঁশি বাজান। রেফারির এমন সিদ্ধান্তে হঠাৎই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ব্রাদার্স শিবির। ফুটবল ম্যানেজার আমের খানের সঙ্গে মাঠে প্রবেশ করেন ব্রাদার্সের বলবয় ফাহিম, কর্মকর্তা জেম, খুরশিদ ও সালাউদ্দিন। তারা রেফারিদের উপর চড়াও হওয়ার চেস্টা করলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ মাঠে ঢুকে রেফারিদের উদ্ধার করতে গেলে ব্রাদার্সের ঘানার ডিফেন্ডার আব্বাস ইনুশাহ এক পুলিশ সদস্যকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেন। এমন অবস্থায় খেলা ৮ মিনিট বন্ধ থাকে। পরে খেলা শুরু হলেও আর কোন গোল হয়নি। ফলে ২-১ গোলের জয় নিয়েই টুর্নামেন্টের সেমিতে ওঠার আনন্দে মাঠ ছাড়ে আবাহনী লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।