নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী লিওনেল মেসি কোপায় যখন নিজ দেশের হয়ে আলো ছড়াচ্ছেন, একই সময় নিজ দেশকে একের পর এক হতাশা উপহার দিচ্ছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থতার পর রিয়াল তারকাকে কথার বানে রীতিমত শূলে চড়িয়েছিলেন সমালোচকেরা। সেই রোনালদো দ্বিতীয় ম্যাচে ছিলেন আরো ফ্যাকাশে। দেশের হয়ে রেকর্ড ১২৮তম ম্যাচে গোলের সুযোগ তো হেলায় নষ্ট করেছেনই, এমনকি শেষ সময়ে পেনাল্টি পেয়েও দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার সাথে গোলশূন্য ড্র করায় তাদের নক-আউট পর্বই শঙ্কায় পড়ে গেল।
চেষ্টার অবশ্য কোনো ঘাটতি ছিল না ৩ বারের বর্ষসেরার। এখন পর্যন্ত আসরে অন্য খেলোয়াড়ের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশিবার লক্ষ বরাবর শট নিয়েছেন তিনি, দুই ম্যাচ মিলে ২০ বার! তা থেকে গোল করতে পারেননি একটিও। আরো একটু পিছিয়ে গেলে আরো হতাশা বাড়াবে রোনালদোর। দেশের হয়ে শেষ ৩৬ শটের একটিও গোলে পরিণত করতে পারেনি ‘সিআর-৭’। এই নিয়েই এখন চলছে সমালোচনার ঝড়। আসরে অন্তত দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি নায়ক হতে পারতেন। অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে আসে সেই সুযোগ। গোলরক্ষককেও বোকা বানিয়ে ফেলেছিলেন উল্টো দিকে। কিন্তু তার নেয়া স্পট-কিক ফিরে আসে বারে লেগে। এ নিয়ে শেষ ৫টি পেনাল্টি কিকের ৪টি থেকেই গোল করতে ব্যর্থ হলেন রোনালদো। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও মোট ২৩ বার প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট নেয় পর্তুগিজরা। একটাও জালের দেখা পায়নি। এর মধ্যে রোনালদোর একাই নেন ১০টি শট। তাকে হতাশ করেছে অস্টিয়ার দর্শকরাও। গ্যালারি থেকে তারা গলা ফাটিয়েছেন ‘মেসি’ ‘মেসি’ বলে। এছাড়া পর্তুগিজ দর্শক তো বটেই যাকে ছাড়িয়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন সেই লুইস ফিগোকেও গ্যালারিতে দেখা গেল কিছুটা বিরক্ত ভঙ্গিমায়। দলের এত ভরসা যাকে নিয়ে সেই তিনিই যদি থাকেন ছায়ার আড়ালে তাহলে দলের সাফল্য তো হয়ে থাকবে দূরের কোনো বাতিঘর। টানা দুই ম্যাচ ড্র করায় গ্রæপ পর্ব থেকেই এখন বিদায়ের শঙ্কায় তার পর্তুগাল। ‘এফ’ গ্রæপে তাদের অবস্থান তিন নম্বরে। শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ শীর্ষে থাকা হাঙ্গেরি। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা দলটি গতকাল ১-১ গোলে ড্র করেছে আইসল্যান্ডের সাথে। আইসল্যান্ডের পয়েন্টও ২। এক পয়েন্ট নিয়ে সবার শেষে অস্ট্রিয়া। তারপরও চার দলেরই সুযোগ রয়েছে নক-আউট পর্বে পা রাখার। ১৯৮২ সালের পর এই প্রথম নিজেদের গোলপোস্ট অক্ষত রাখল অস্ট্রিয়া।
পেনাল্টি মিসের পর হেড থেকে একবার বল জালে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু অফ-সাইডের ফাঁদে পড়ে তা বাতিল হয়। রেফারির সিদ্ধান্ত ঠিকই ছিল, এরপরও রোনালদো মাখা নাড়ালেন কেন তা ঠিক বোধগম্য নয়। এছাড়াও তিনি এমন কিছু মিস করেছেন যা তার নামের সাথে যায় না। দেশের হয়ে এমন রেকর্ডের ম্যাচও তাই ভুলে যেতে চান তিনি, “আমি খুবই মর্মাহত, কারণ এভাবে রেকর্ডটা আমি করতে চাইনি। সবচেয়ে ভালো হতো...” এটুকু বলে হতাশ রোনালদো বাকিটা বোঝালেন মাথা ঝাঁকিয়ে। পরে যোগ করেন, “অবশ্যই আমরা এমন কিছু চাইনি। অনেক সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। আমি নিজেও পেনাল্টি কাজে লাগাতে পারিনি। কিন্তু এটাই ফুটবল। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস হারালে চলবে না।” তবে আসল কথাটা স্মরণ করিয়ে দিলেন দলের কোচ ফার্নান্ডো সান্তোস, “হাঙ্গেরি আমাদের সাথে ড্র করতে চাইবে। সেক্ষেত্রে তারা পরের রাউন্ডে চলে যাবে। দল হিসেবেও তারা সুগঠিত কিন্তু আমাদের সেই দেয়াল ভাঙতেই হবে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।