বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাঁদপুরে আধুনিক নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর একনেকে অনুমোদন পেলেও টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হয়নি। শুধু তা-ই নয়, এখনো কনসালটেন্ট ডিজাইন তথা নকশাও চূড়ান্ত করতে পারেনি।
তবে আগামী বছরের জানুয়ারির দিকে কনসালটেন্ট ডিজাইন বিআইডব্লিউটিএর কাছে জমা দেবার কথা রয়েছে। যদি তা-ই হয়, এরপরই টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। অথচ তড়িঘড়ি করে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করে গেছেন।
জানা যায়, দুইশ’ বছর আগে ডাকাতিয়া-মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর নদী বন্দর স্থাপিত হয়। ব্রিটিশ শাসন আমলে আইজি এন্ড আরসিন কোম্পানী ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে স্টিমার ঘাট এবং রেলওয়ে স্টেশন প্রতিষ্ঠা করে চাঁদপুর নৌ-বন্দরের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে। তখন অবিভক্ত বাংলার সাথে আসাম-বেঙ্গল সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা এ নদী বন্দরকে ঘিরেই গড়ে উঠে।
এরপর ২০০০ সালে হঠাৎ নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায় লঞ্চঘাট। দীর্ঘ বছর পেরিয়ে গেলেও আজৌ একটি স্থায়ী নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ সম্ভব হয়ে উঠেনি। ওই সময় থেকে চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডে ২.৪৮ একর জমির উপর অস্থায়ী ঘাট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। কয়েক বছর পূর্বে এটিকে স্থায়ী হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
তবে চাঁদপুর বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন ওই জমির সাথে আরো দেড় একর বাড়িয়ে প্রায় ৪ একর জমির উপর দ্বিতল ভবনের নতুন লঞ্চঘাট নির্মাণ করা হবে। আগামী দুই তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।
আধুনিক নৌ-টার্মিণাল নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক ফরহাদুজ্জামান জানান, প্রায় দুই বছর গবেষণার পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে রিপোর্ট দেয়ার কথা রয়েছে। তারপর টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। আগামি ২০২২ সালের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ২.৪৮ একর জায়গায় ৫০ কোটি ২৪ লাখ টাকায় তৈরি হবে ভবন। কাজ চলাকালীন সময়ে আরো যে ভূমি লাগবে তা একোয়ার করা হবে।
অপরদিকে এ নৌ-টার্মিনালে যাত্রীদের নেই কোন সুযোগ সুবিধা। ঘাটে অপেক্ষমান যাত্রীদের জন্য নেই কোন টয়লেট কিংবা বসার স্থান। ফলে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ঢাকা, চাঁদপুরসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রী। যদিও এ নৌ-টার্মিনাল দিয়ে চাঁদপুর-ঢাকা ও চাঁদপুর-নারায়নগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌ-পথে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় একশ ছোট বড় লঞ্চ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।