মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মনিপুরের স্বাধীনতাকামী নেতারা মঙ্গলবার ভারত থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। তারা লন্ডনে প্রবাসী সরকার গঠন করেন। তারা মনিপুরের মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবার নির্দেশে এই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন তারা এ ধরনের ঘোষণা দিলেন। মিয়ানমারের সীমান্ত লাগোয়া এই রাজ্যের উত্তরে রয়েছে ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্য, পশ্চিমে আসাম ও দক্ষিণে মিজোরাম। নয়া দিল্লি ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের দুই বছর পর ১৯৪৯ সালে সাবেক এই রাজন্য শাসিত রাজ্যটি ভারতের অংশ হয়। কিন্তু এই রাজ্যের জনগণ স্বাধীনতার দাবিতে কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র সংগ্রাম করছে বলে বলে আল জাজিরার এক খবরে বলা হয়েছে। মনিপুরের শেষ শাসক বোধচন্দ্র সিংহ ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চুক্তিতে সই করেন। তার ভয় ছিলো বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) হয়তো মনিপুর দখল করে নেবে। ভারতের ছোট রাজ্যগুলোর একটি এই মনিপুর, জনসংখ্যা মাত্র ২৮ লাখ। এটা সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যের একটি। এই অঞ্চলের রাজ্যগুলোতে স্বাধীনতার দাবিতে শতাধিক গ্রুপ আন্দোলন করে যাচ্ছে। এসব গ্রুপের কোনটি শুধু রাজনৈতিক, আবার কোনটি সশস্ত্র। ভারতের সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট এন্ড পিস স্টাডিজের তথ্যমতে, মনিপুরে প্রথম বিদ্রোহের সূচনা হয় ১৯৬৪ সালের ২৪ নভেম্বর, ইউনাইটেড ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট (ইউএনএলএফ) গঠনের মধ্য দিয়ে। এর কারণ ছিলো মনিপুরকে জোর করে ভারতের সঙ্গে একীভূত করা এবং একে পুরোপুরি রাজ্যমর্যাদা দানে বিলম্বিতকরণ। রাষ্ট্র ক্ষমতা পাওয়া ছিলো মনিপুরবাসীর আকাক্সক্ষা। এরপর স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে আরো কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন। ১৯৭৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গঠিত হয় পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ), ১৯৭৭ সালের ৯ অক্টোবর গঠিত হয় পিপলস রেভ্যুলেশনারি পার্টি অব কাংলোইপাক (পিআরইপিএসি) এবং ১৯৮০ সালের এপ্রিলে গঠিত হয় কাংলেইপাক কমিউনিস্ট পার্টি (কেসিপি)। প্রতিটি গ্রুপই আলাদাভাবে মনিপুর রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ভারতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এই গ্রুপগুলোর একটি নীতি ছিলো। তারা রাজ্য পুলিশকে টার্গেট করতো না, শুধু ভারতীয় সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লাড়াই করতো। কারণ এরাই এই অঞ্চলে ছিলো ভারত সরকারের প্রতিনিধি। বিদ্রোহের কারণে ১৯৮০ সালে ভারত সরকার মনিপুরকে ‘অশান্ত অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং সেখানে ভারতের কুখ্যাত সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৫৮ বলবত করা হয়। এই আইনের বিরুদ্ধে রাজ্যের জনগণ প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে। এই আইনের কারণে সেখানে বহু মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার লন্ডনের সাংবাদিক সম্মেলনে মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের মুখ্যমন্ত্রী ইয়ামবেন বিরেন এবং মনিপুর স্টেট কাউন্সিলের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নারেংবাম সমরজিত আনুষ্ঠানিকভাবে মনিপুর রাষ্ট্রের প্রবাসী সরকার – মনিপুর স্টেট কাউন্সিল – গঠনের কথা ঘোষণা করেন। লন্ডনে হবে এই প্রবাসী সরকারের দফতর। তারা একটি ডকুমেন্ট তুলে ধরেন, যেখানে মনিপুরের মহারাজার দেয়া কর্তৃত্বের সই রয়েছে। এটি ২০১৩ সালের ১৫ মার্চ দেয়া আদেশ নং ১২/২০১৩। মনিপুর রাজ্যের রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য এই কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।