মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানে চলন্ত ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হলে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মারা গেলেন অন্তত ৭৩ জন যাত্রী, আহত অসংখ্য। বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান এলাকার কাছে লিয়াকতপুরে এই বিধ্বংসী দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা সবাই তেজগাম এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন। রাওয়ালপিণ্ডি থেকে করাচি যাচ্ছিল ট্রেনটি।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডিগামী তেজগাম ট্রেনের এক বগিতে গ্যাস সিলিন্ডার বহন করছিলেন এক যাত্রী। হঠাৎ ওই সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। এতে সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হন। এরপর পুরো ট্রেনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের কারণে সব মিলিয়ে তিন বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের রেলওয়ে পুলিশ জানায়, সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের পর ওই বগিসহ আরও দুটি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনা সম্পর্কে পাকিস্তানের রেলওয়ে মন্ত্রী শেখ রাশেদ বলেন, রান্নায় ব্যবহৃত দুটি স্টোভ বিস্ফোরিত হয়েছে। যাত্রীরা রান্না করছিল। তাদের কাছে ছিল রান্না করার তেল। এজন্য আগুন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। বেশিরভাগ যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার কারণে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। এদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা হবে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন থেকে বাঁচার জন্য ট্রেন থেকে লাফ দিয়েও প্রাণ হারিয়েছেন অনেক যাত্রী। আবার কিছু যাত্রী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে প্রাণ বাঁচাতেও সক্ষম হয়েছেন।
দুর্ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় সেনাবাহিনী, চিকিৎসক, অগ্নি নির্বাপণ কর্মী এবং উদ্ধারকারীরা। একসঙ্গেই চলে উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ। মুলতান থেকে পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর বিশেষ কপ্টারও। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আহতদের জন্য সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গত পাঁচ মাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা হল পাকিস্তানে। সেপ্টেম্বরে চারজন প্রাণ হারায় রেল দুর্ঘটনায়। তার আগে জুলাই মাসে সাদিকাবাদে যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণহানি হয় ২০ জনের বেশি যাত্রীর। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছিল ৮০। জুন মাসে পাকিস্তানের হায়দরাবাদ প্রদেশে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিন জন। পাকিস্তান রেলের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রেনের কামরায় সিলিন্ডার বা অন্য দাহ্য পদার্থ নিয়ে ওঠা আইনবিরুদ্ধ। তা সত্ত্বেও যাত্রীরা তাদের পোশাকের আড়ালে সিলিন্ডার নিয়ে তেজগাম এক্সপ্রেসে ওঠেন বলে তার অভিমত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।