পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ‘জিরো টলারেন্স’। সেটাকে আমরা ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। দুর্নীতি যেখানে, সেখানেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দুর্নীতিতে জড়িত কারো পাশে আমি থাকব না। দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি আমার টিমে থাকবেন না। আত্মীয়, রাজনৈতিক পরিচয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কোনটিই দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত কাউকে রক্ষা করতে পারবে না।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো: ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার প্রমুখ।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি পদ্ধতি, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা না হলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখবো। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হবে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল করেছে। তবে এই উন্নয়ন হতে হবে টেকসই উন্নয়ন। ঠুনকো বা অস্থায়ী উন্নয়ন দেশকে ভালো কিছু দিতে পারে না। এজন্য আমরা সারা দেশকে মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে আসছি। ব্যক্তিগত জমিতেও অপরিকল্পিত কিছু করতে দেয়া হবে না। পরিকল্পিত উপায়ে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হতে হব।
ক্যাসিনো কেলেঙ্কারীর মতো কিছু অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি আমাদের উন্নয়নকে ব্যাহত করে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এদেশে অনৈতিকতাপূর্ণ কোন বিষয়কে সরকার অনুমোদন করবে না। একটিও অনৈতিকতাপূর্ণ কর্মকান্ডের লাইসেন্স শেখ হাসিনা সরকার দেয়নি। আমরা চাই না, স্পোর্টস ক্লাবের ভেতরে ক্যাসিনো বা মাদকের ব্যবসা চলবে, অনৈতিকতার বিস্তার ঘটবে। এটা শেখ হাসিনা সরকার কোনোভাবে বরদাশত করে না। সে জন্য আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। শ ম রেজাউল করিম করেন, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, আমরা কেউ জানি না কে কখন গ্রেফতার হবেন। অনৈতিকতা ও দুর্নীতিতে যিনিই জড়িত থাকবেন, তিনিই গ্রেফতার হবেন। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাদের পরিষ্কার কথা, সকলকে নৈতিকতার মানদন্ড দৃঢ়তার সাথে ধারণ করতে হবে। দুর্নীতিকে শতভাগ না বলতে হবে। না হলে কঠোর অবস্থার মুখোমুখি হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আমরা মাত্র তেরো মাসে বিশতলা ভবন করেছি। এই কৃতিত্ব দেশে কেবল গণপূর্ত অধিদপ্তর দেখাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের পূর্বাচল প্রকল্প পরিকল্পিত ও পরিবেশবান্ধব বিধায় এর জন্য বিশ্ব প্ররমন্ডলে আমরা পুরস্কার অর্জন করেছি। দেশের বড় বড় অবকাঠামো উন্নয়ন আমাদের হাতে হয়েছে। কিন্তু কিছু ঘটনা আমাদের অর্জনকে কলঙ্কিত করে তোলে। এ কারণে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।