পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা নিয়োগে ব্যাপক ধস দেখা দিয়েছে। উভয় দেশে দালালদের অধিক লাভ করার প্রবণতা, শ্রমিকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে দেশটিতে বাংলাদেশী শ্রমিকদের গৃহপরিচারিকা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার হার কমেছে ৩০ শতাংশ। স্থানীয় একটি দৈনিককে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে সউদী গেজেট। খবরে বলা হয়, সউদী আরবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গৃহপরিচারিকা হিসেবে চাকরি করেন। কম বেতন ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কম খরচ হওয়ার কারণে অনেক সউদী পরিবার গৃহপরিচারিকা হিসেবে বাংলাদেশীদের অধিক পছন্দ করেন। বর্তমানে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ সউদী রিয়াল বেতন দেয়া হয়।
দেশটির বেশ কয়েকটি নিয়োগ অফিসের মালিকরা মনে করেন, সউদী আরবে পাঠানোর আগে বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকাদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলোও এদিকে নজর দেয় না।
সউদী আরবের একটি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মালিক ইব্রাহিম আল মাজিদ বলেন, বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিকা নেয়ার প্রক্রিয়া খুবই অগোছালো। পাশাপাশি বাংলাদেশের নিয়োগ অফিসগুলো সউদী আরবের সঙ্গে বোঝাপড়া নিজেরা না করে সেজন্য দালাল নিয়োগ করতে বেশি আগ্রহী। তিনি আরো বলেন, কিছু বাংলাদেশী গৃহপরিচারিকা তিন মাসের ‘প্রবেশনারি পিরিয়ড’ শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরতে চান। এসব কারণে বাংলাদেশ থেকে গৃহপরিচারিক নিয়োগ ৩০ শতাংশ কমে গেছে। অথচ এক সময় প্রায় ৫০ শতাংশ গৃহপরিচারিকা বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ দেয়া হতো।
সউদী আরবের আরেকটি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আল বাকামি শ্রমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উভয় দেশে দালাল সংযুক্ত করার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এসব দালাল নিয়োগের খরচ বাড়িয়ে দিয়ে অযোগ্য গৃহপরিচারিকা পাঠাচ্ছে। এছাড়া, বাংলাদেশে শ্রমিক নিয়োগের নিয়মিত প্রক্রিয়াও অনেক জটিল। কেননা নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরের আগে কর্তৃপক্ষ অনেক অনুমোদন ও স্বাক্ষর চায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।