নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : ২৫তম ওভারের তৃতীয় বলটি তাসকিন শর্ট ডেলিভারী ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়ার মিডল অর্ডার সোহরাওয়ার্দি শুভ। কিন্তু বলটি প্রত্যাশিত উচ্চতায় না এসে নীচু হয়ে আসায় বলের আঘাত থেকে রক্ষা পাননি সোহরাওয়ার্দি শুভ । বল আঘাত করে হেলমেটের ঠিক নিচে তার ঘাড়ের ডানপাশে।সঙ্গে সঙ্গে পীচের উপর লুটিয়ে পড়েন সোহরায়ার্দি শুভ। দ্রæত ছুটে যান ফিজিও। স্ট্রেচার নিয়ে ছুটে যান একদল কর্মী। ব্যথায় কাতর শুভ ডান হাত দিয়ে বন্ধ রেখেছেন চোখ। ভিআইপি গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শক,সাংবাদিক তখন উদ্বিগ্ন। প্রতিপক্ষ দল আবাহনীর ক্রিকেটাররা বাতাস করেন শুভকে। উইকেটে কিছুক্ষণ দেখে নেওয়ার পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে আনা হয় শুভকে। মাঠে আর ফিরতে পারেননি শুভ। প্রাথমিকভাবে মেডিকেল রুমে এনে প্রায় ২০ মিনিট পর অ্যাম্বুলেন্সে করে অ্যাপেলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দি শুভকে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। তবে এই আঘাতে যতোটা শংকা ছিল, তা কেটে গেছে। ২৪ ঘন্টা নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকবেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশিষÑ‘ আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে চারটি টেস্ট করেছি। এর মধ্যে শুভর ক্ষেত্রে তিনটি টেস্টের ফলই ভালো। একটাই শুধু একটু খারাপ। চোখে আলো ফেললে যেভাবে সেপন্স করার কথা, তা করেনি শুভ। এখানেই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু ছিল। তবে এখন ওকে নিয়ে ভয় কেটে গেছে। সেখানে সিটি স্ক্যানের পাশাপাশি করা হচ্ছে অন্যান্য পরীক্ষা। তবে জ্ঞান থাকলেও কথা বলায় তার সমস্যা হচ্ছে। স্ক্যান রিপোর্ট পেলে তার ইনজুরির সম্পূর্ণ তথ্য জানা যাবে।এ ধরনের পরিস্থিতিতে ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। সেটাই করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ’
ওই বাউন্সারে শুভ আঘাত পাওয়ায় নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে করেছেন তাসকিনÑ‘ প্রথমে বুঝতে পারিনি। খকিন্তু যখন উনার কাছে ছুটে গেলাম, দেখি উনি পড়ে গিয়ে শুধু দোয়া পড়ে যাচ্ছেন, তখন খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়ার সময় খুব খারাপ লাগছিল। তবে এখন ভ উনি ভালো আছেন জেনে।’ ফেসবুকে তাসকিন সোহরায়ার্দি শুভ’র জন্য চেয়েছেন দোয়া। লিখেছেনÑ‘ আবাহনী বনাম ভিক্টোরিয়া ম্যাচে তাসকিনের বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর অসুস্থ সোহরাওয়ার্দী শুভ। হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন যাতে বড় কোন প্রবলেম না হয়।’
শন অ্যাবটের বাউন্সারে ফিল হিউজের পীচের উপর লুটিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার মর্মস্পর্শী সে ঘটনা এখনো ভোলেনি কেউ। ক্রিকেট বিশ্বকে স্পর্শ করা সেই শোক থেকে যে সতর্ক সংকেত, তা থেকে শিক্ষা নেয়নি বিসিবি। ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় ধরনের দূর্ঘটনার শংকা মাথায় রেখে ম্যাচ চলাকালে ভেন্যুতে অ্যাম্বলেন্স প্রস্তুত রাখা জরুরী, অথচ, হোম অব ক্রিকেটে পর্যন্ত সে ব্যবস্থা নেই ! দ্রæত স্ট্রেচারে করে তাৎক্ষনিকভাবে বিসিবি’র মেডিকেল রুমে শুভকে নিয়ে যাওয়া হলেও জরুরী অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত না থাকায় শুভকে হাসপাতালে নিতে অন্তত: মিনিট বিশেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে ! এই ঘটনার দায়টা বিসিবিকেই দিয়েছেন প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের কো-অর্ডিনেটর আমিন খানÑ‘ এর আগে বিকেএসপিতে নাজমুস সাদতকে নিয়ে বিপদে পড়েছিলাম। মাঠে আঘাতপ্রাপ্ত ওই ক্রিকেটারকে বিকেএসপি থেকে দ্রæত হাসপাতালে নেয়ার জন্য কোন অ্যাম্বুলেন্স পাইনি। বাধ্য হয়ে আমার গাড়ীতে করে কাছাকাছি থাকা হাসপাতালে নিতে হয়েছে নাজমুস সাদতকে। খেলা চলাকালে প্রতিটি ভেন্যুতে অ্যাম্বুলেন্স রাখার দাবি অনেক বার করেও কোন ফল পাইনি। বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি বিসিবি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।