পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাষ্ট্র আবারও বলেছে যে, ভারত ও পাকিস্তান চাইলে কাশ্মীর বিবাদ মীমাংসার জন্য দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্প প্রস্তুত আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা জোর দিয়ে এটাও বলেছেন যে, আলোচনার জন্য জোর দেয়াটা পাকিস্তানের দায়িত্ব এবং তাদেরকে এটাও দেখাতে হবে যে, নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে তারা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদির সাথে আলাদা বৈঠকে তিনি বিষয়টির উত্থাপন করেছেন। এক প্রশ্নের জবাবে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “তিনি (ট্রাম্প) নিশ্চিতভাবে মধ্যস্থতার জন্য প্রস্তুত আছেন, যদি দুই দেশই রাজি হয়। ভারতের অবস্থান হলো তারা বাইরের মধ্যস্থতাকারীকে মেনে নেবে না”। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা বলেছেন, একটা গঠনম‚লক আলোচনার বসার জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে উৎসাহিত করা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। একইসাথে পাকিস্তানকে আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাস দমনের জন্য এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, কারণ এ সন্ত্রাসের কারণেই এর আগে গঠনম‚লক দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ভেস্তে গেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরও ব্যাখ্যা করে বলেন যে, প্রেসিডেন্টকে যদি মধ্যস্থতা করার জন্য দুই দেশই বলে, তাহলে তিনি সমাধান খোঁজার ব্যাপারে সাহায্য করতে আগ্রহী আছেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিস থেকে স্পষ্টভাবে এটা বলা হয়েছে যে, তারা কোন মধ্যস্থতাকারী চায় না। এর অর্থ এটা নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে আলোচনার জন্য চেষ্টা করছে না যাতে দুই দেশের মধ্যে সংলাপের একটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। কর্মকর্তা কার্তারপুর করিডোর নিয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়টিতে স্বাগত জানান এবং এটা দুই দেশের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরির ক্ষেত্রে ভ‚মিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এটা যদিও এটা ছোট পদক্ষেপ, তবে এ ধরণের আরও পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে উভয়ের মধ্যে সদিচ্ছা, এবং গঠনম‚লক সংলাপের একটা পরিবেশ তৈরি হয়”। ভারত যেটা বলে থাকে যে, “আলোচন এবং সন্ত্রাস একসাথে চলতে পারে না”, সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কি – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে টেকসই ও স্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে”। তিনি বলেন, সংলাপ হওয়াটা সম্ভব এবং যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করছে কারণ দু্টাে পারমাণবিক শক্তি পাশাপাশি অবস্থান করছে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।