মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মহাকাশে দু’দশকেরও বেশি সময় কেটে গেল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের। এখন সময় হয়ে আসছে আটলান্টিক মহাসাগরে এটি ছুড়ে ফেলার। সেখানেই সলিলসমাধি ঘটবে ফুটবল মাঠের সমান এই মহাকাশ স্টেশনের।
৬টি ঘরের এই মহাকাশ স্টেশনকে চালু রাখার জন্য খরচের বোঝা উত্তরোত্তর ভারী হয়ে চেপে বসছে নাসা, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইসা), জাপান স্পেস এজেন্সি (জাক্সা), রুশ মহাকাশ সংস্থা (রসকসমস) ও কানাডার মহাকাশ সংস্থার (সিএসএ) কাঁধে। নাসা এই বোঝাটা আর বইতে চাইছে না। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরে বেড়ানোর বদলে নাসা এখন ৩ লাখ ৮৪ হাজার কিলোমিটার দূরের চাঁদে আস্তানা গাড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। চাঁদের কক্ষপথে বসানো হবে ‘লুনার স্টেশন’ নামের সেই আস্তানা। প্রকল্পের নাম ‘আর্টেমিস’।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন গড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আটের দশকে। লক্ষ্য, বাতাসহীন প্রায় শূন্য অভিকর্ষ বলে (মাইক্রোগ্র্যাভিটি) বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা, গবেষণা। বরাবরই সৌর প্যানেলের ভরসায় চলেছে, এখনও চলছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র। দেড় ঘণ্টায় এক বার করে প্রদক্ষিণ করছে পৃথিবীকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে। দিনে পৃথিবীকে প্রায় সাড়ে ১৫টি কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে চলেছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অচল হয়ে পড়লেও মহাকাশ কেন্দ্র পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে চলতেই পারে, অন়ন্ত কাল ধরে। তবে তাতে অন্য মহাকাশযান পাঠাতে অসুবিধা হতে পারে। তাদের আসা-যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে মহাকাশ কেন্দ্র। আবর্জনা (স্পেস ডেব্রি) বাড়াতে পারে মহাকাশে। তাই তাকে নামিয়ে আনাটাই জরুরি। সেটা পাঁচ বছরের মধ্যে যদি না হয়, তা হলে তা অবশ্যই হবে ২০৩০-এর মধ্যে। হয়তো প্রশান্ত মহাসাগরেই নামিয়ে ফেলা হবে তাকে। তত দিনে চাঁদের কক্ষপথে পাকাপাকি ভাবে আস্তানা (আর্টেমিস) গড়ে তুলতে পারবে নাসা।
তবে চীন খুব শীঘ্রই মহাকাশ কেন্দ্র গড়ে তুলতে চলেছে। ইসরোও জানিয়েছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের মহাকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। একই রকমের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইজরায়েলও। ফলে, খুব বেশি হলে আর বছর দশকের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রটি ছুড়ে ফেলা হবে মহাসাগরে!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।