গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, চলমান জাতীয় সংকট সমাধানে গোলটেবিল আলোচনার মাধ্যমে সকল দলের ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আর আলোচনার এই ক্ষেত্র সরকারকেই তৈরি করতে হবে। সরকার চাইলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিএনপি এতে সাড়া দেবে। দেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা না থাকায় অস্থিরতা ও সংকট বাড়ছে। সকল দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই অস্থিরতা-সংকট বেড়েই চলবে।
গতকাল শনিবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন আয়োজিত ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহসাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর।
আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, স্বাধীনতার পর ক্ষমতাসীন আ’লীগের ক্যাডাররা ব্যাংক লুট করেছে। তাদের বিশেষ বাহিনী হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। তারাই তখন জঙ্গী লালন করেছিল, এখনও করছে। বর্তমানেও সরকারের লোকেরা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকাও চুরি হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি।
তিনি বলেন, ’৭২-৭৫ সময়ে রাজনীতির নামে গণবাহিনী সৃষ্টি করে জাসদ মানুষ হত্যা করেছে, তারা ১৫ আগস্ট সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে, এদেশের জনগণ তা জানে। সেই খুনীদের নিয়েই বর্তমান সরকার জোট করেছে। তাদের মন্ত্রী বানিয়েছে। স¤প্রতি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিয়েছেনÑএজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।
নোমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। নির্বাচিত সরকার নেই। যারা এখন ক্ষমতায় আছে, তারা জনগণের নির্বাচিত নয়। অর্থনীতিসহ সর্বক্ষেত্রে আজ চরম অস্থিরতা ও সংকট বিরাজ করছে। মানুষ ভালো নেই। বৈদেশিক বিনিয়োগ নেই। জানমালের নিরাপত্তা নেই। প্রকাশ্যে মানুষ খুন হচ্ছে। খুনীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিরাজমান বর্তমান সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বিনা কারণে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করছে। কারাগারেও জায়গা নেই। ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করতেই সরকার এসব করছে। বর্তমানে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরী পাচ্ছে না। তারা অবহেলিত, নির্যাতিত। অবিলম্বে ঈদ বোনাসসহ শ্রমিকদের যাবতীয় পাওনা পরিশোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক জাফরুল হাসান, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খাঁন নাসিম, সহসভাপতি মেহেদী আলী খান, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুল করিম মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের সভাপতি জুলফিকার মতিন, মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সহসভাপতি সুমন ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল, ঢাকা ওয়াসা জাতীয়তাবাদী এমপ্লয়ীজ ইউনিয়ন নেতা মোস্তফা কামাল, এমদাদুল হক জেমস, মনির হোসেন পাটোয়ারী, বজলুল করিম এবং তালেবুল ইসলাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।