Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিও ডি জেনিরোতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা, ঝুঁকিতে অলিম্পিক আয়োজন

সংকটের কারণ হিসেবে তেল খাতে করের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন গভর্নর

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তর ঘনবসতিপূর্ণ রাজ্য রিও ডি জেনিরোর অর্থনৈতিক খাতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই রাজ্যে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা নিয়ে শঙ্কা  তৈরি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের জারি করা এক ডিক্রিতে গভর্নর ডোরনেলেস বলেন, রাষ্ট্র জনদুর্যোগ মোকাবেলা করছে, সব রাষ্ট্রীয় সেবা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে। খবরে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর অলিম্পিক শুরু হওয়ার ৫০ দিনেরও কম সময়ের আগে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো।
চলতি বছরের আগস্ট থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো শহরে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর অলিম্পিক। এই আসরকে কেন্দ্র করে সেখানে ৫ লাখ বিদেশি পর্যটকের সমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অলিম্পিকের তহবিলের বড় অংশ আসে রিও নগরীর রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে। তবে যাতায়াত ও নিরাপত্তার ব্যয়ভার বহন করে রাষ্ট্র। অবশ্য খেলার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট মিশেল তামের বড় অংকের অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই অর্থনৈতিক সংকটের কারণ হিসেবে তেল খাতে করের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন গভর্নর। ব্রাজিলের গভীর অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় ফেডারেল ইমারজেন্সি ফান্ড গঠন করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি বলছে, রাজ্যটির অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস বলেন, গুরুতর অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এই ক্রীড়া আসরকে যথাযথ সম্মান জানানোর যে অঙ্গীকার রাজ্যটি করেছিল তা থেকে বিরত থাকতে হতে পারে। এবারের অলিম্পিক আসরে গণসেবা খাতের অধিকাংশ তহবিলের যোগান দেওয়ার কথা রিও’র নগর সরকারের। আর পরিবহন ও পুলিশিসেবা দেওয়ার কথা রাজ্য সরকারের। ব্রাজিলের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমের উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তার অঙ্গীকার করেছিলেন। রিও ডি জেনিরোর গভর্নর এই সংকটের জন্য কর ঘাটতিকে দায়ী করেছেন, বিশেষ করে দায় চাপিয়েছেন তেলশিল্পের উপর। ব্রাজিল বর্তমানে এক ধরনের কঠোর কৃচ্ছ্রতার মধ্যদিয়েই যাচ্ছে। গর্ভনরের এই অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের জরুরি তহবিল অবমুক্ত করার ক্ষেত্রে গতির সঞ্চার হতে পারে। রিও রাজ্য সরকারের কর্মচারী এবং অবসরভোগীদের অপরিশোধিত মজুরি বকেয়া হয়েছে। বিষয়টি হাসপাতাল এবং পুলিশ স্টেশনগুলোতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। একটি ডিক্রিতে গভর্নর ফ্রান্সিসকো ডোরনেলেস বলেন, এই রাজ্য গণ দুর্দশার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, যার কারণে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষার মতো গণসেবা কার্যক্রশ ভেঙে পড়তে পারে। তবে অলিম্পিক আসরকে সামনে রেখে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যা প্রয়োজনীয় সব গণসেবা খাতে প্রভাব ফেলবে বলে তিনি জানালেও, বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি। রাজ্যটি চলতি বছর ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট ঘাটতি দেখিয়েছে। প্রসঙ্গত, অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্রাজিলের বহু সরকারি চাকরিজীবী ও পেনশনধারীদের বেতন ও পেনশন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও হাসপাতাল ও পুলিশ স্টেশনগুলোর ওপরও এর গুরুতর প্রভাব পড়ছে। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিও ডি জেনিরোতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ