Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইইউর তহবিল নেবে না এমএসএফ

প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তুরস্ক-ইইউ অভিবাসন চুক্তির প্রতিবাদ
ইনকিলাব ডেস্ক : শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) গৃহীত নতুন অভিবাসন চুক্তির প্রতিবাদে তাদের কাছ থেকে আর কোনও অনুদান বা তহবিল না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ। গত শুক্রবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এমএসএফ ঘোষণা করছে, ইইউর ‘লজ্জাজনক’ প্রতিবন্ধক নীতি এবং শরণার্থীদের ইউরোপীয় উপকূল থেকে ঠেলে বের করে দেওয়ার তাদের যে মরিয়া ভাব তার প্রতিবাদে আমরা আর কখনও ইইউ এবং এর সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে কোনো তহবিল নেবো না। এ বছর মার্চ মাসে তুরস্কের সঙ্গে শরণার্থী বিষয়ক একটি চুক্তি করেছে ইইউ। ওই চুক্তি অনুযায়ী, তুরস্ক আর্থিক সহায়তা এবং রাজনৈতিক পুরস্কারের বিনিময়ে তাদের ভূখ- হয়ে অবৈধ অভিবাসন বন্ধে করতে রাজি হয়। চুক্তি মোতাবেক মানবপাচারকারীদের নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছানো শরণার্থীদেরকে পুনরায় ফেরতও নেয় তুরস্ক। এমএসএফ এ চুক্তির বিষয়টিই বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমএসএফের আন্তর্জাতিক মহাসচিব জেরম ওবেরেইট বলেন, ইইউ-তুরস্ক চুক্তি মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর মৌলিক নীতি বিরুদ্ধ। এ চুক্তি শরণার্থী ধারণাকেই বিপন্ন করে তুলেছে। গত বছর ইইউ ও এর সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে ছয় কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্য পেয়েছিল এমএসএফ। সাধারণত, অনুদান ও তহবিলের ওপরই এমএসএফ এর ব্যয় নির্ভর করে। আর ইইউ  এমএসএফ এর অন্যতম বড় দাতা। ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানসহ বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা এবং আফ্রিকাসহ গরিব ও গোলযোগপূর্ণ এলাকাগুলোতে লোকজনকে স্বাস্থ্যসেবা দেয় এমএসএফ। এমন অনেক অঞ্চলে সংস্থাটির হাসপাতালও রয়েছে। কিন্তু এমএসএফ এর ভাষ্য, মানুষের গ্রহণযোগ্যতা এবং  ব্যক্তিবিশেষের প্রয়োজন কেন্দ্রিক কোনও নীতিমালা গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত তারা ইইউ বা এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে অর্থ চাইবে না। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইইউর তহবিল নেবে না এমএসএফ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ