বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের বিশ্বনাথে মসজিদের জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে মহিলা’সহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামের মৃত মখন আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন ও মৃত আঞ্জব আলীর ছেলে সোনা উল্লাহ পক্ষের লোকজনদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাজ উদ্দিন পক্ষের আহতরা হলেন- তাজ উদ্দিন (৫৩), তার ছোট ভাই আমির উদ্দিন (৩০), বোন মধু মালা বেগম (৩৫) ও রুপিয়া বেগম (২৫)। সোনা উল্লাহ পক্ষের আহতরা হলেন- সোনা উল্লাহ (৭০), তার ভাই ইন্তাজ আলী (৫৫), ছেলে সামাদ মিয়া (২৫) ও ভাতিজা ছবির মিয়া (৩৫)।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। গুরুত্বর আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, দুর্লভপুর গ্রামের জামে মসজিদের জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীর (পঞ্চায়েত) সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে তাজ উদ্দিন পক্ষের লোকজনদের। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় স্থানীয় প্রীতিগঞ্জ বাজারে পঞ্চায়ের পক্ষের মসজিদ কমিটির সভাপতি সোনা উল্লাহর ভাতিজা বক্কর মিয়ার সাথে কথা কাটাকাটি হয় তাজ উদ্দিন পক্ষের লোকজনদের। এরই জের ধরে সকাল ১০টায় উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
সোনা উল্লাহ জানান- প্রায় অর্ধশত বছর আগে তাজ উদ্দিনের পূর্ব পুরুষেরা মৌখিকভাবে ১৮শত ভূমি গ্রামের মসজিদে দান করেন। কিন্ত মসজিদের নামে দলিল না থাকায় ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করেন তাজ উদ্দিন। এনিয়ে তাজ উদ্দিনের সাথে গ্রামের পঞ্চায়েতের বিরোধ ও আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। (সোনা উল্লাহ) ভাতিজা বক্কর মিয়া মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেল নিয়ে স্থানীয় বাজারে গেলে তাকে গালিগালাজ করেন তাজ উদ্দিন পক্ষের লোকজন। এরপর বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে বক্করের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তাকে বাঁচাতে পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের উপরও অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে সোনা উল্লাহসহ তার পক্ষের ৪জন আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
তাজ উদ্দিন তাদের উপর আনিত অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে বলেন, বিরোধপূর্ণ জায়গা আমাদের। এই জায়গা আমাদের কোন পূর্ব পুরুষ মসজিদে দান করেছেন বলে এমন কোন দলিল নেই। সোলা উল্লাহ সহ তার প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে মঙ্গলবার সকালে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আমার ভাগিনা রুমেলের উপর হামলা করে। এসময় রুমেলকে বাঁচাতে আমরা এগিয়ে গেলে তারা অতর্কিতভাবে আমাদের উপরও হামলা চালায়। এতে আমি, আমার ছোট ভাই ও দুই বোন আহত হয়েছি।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।