পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য নেয়া হয়েছে আলাদা প্রকল্প। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ৪ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ৫ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট খরচ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে ৩ হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান একনেক সভার বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, বিদেশে বাংলাদেশের কনস্যুলেটগুলোর মধ্যে জেদ্দা অন্যতম বৃহৎ একটি কনস্যুলেট। বর্তমানে এখানে প্রায় ১১ জন কর্মকর্তা এবং ৪০ জনের বেশি স্টাফ কর্মরত রয়েছেন। এই কনস্যুলেটের কার্যক্রম একটি ভাড়া করা ভবন থেকে পরিচালিত হচ্ছে। এ রকম ভাড়া করা একটি ভবনে সউদী আরবের মত বৃহৎ জনশক্তির বাজারে বাংলাদেশের নাগরিকদের সেবা দেওয়া ক্রমাগত বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে প্রতিবছর কনস্যুলেট ভবন, অফিসার ও স্টাফ কোয়ার্টার এবং হলরুমের ভাড়া বাবদ প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এ জন্য চ্যান্সারি এবং রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের আগস্টে সউদী সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১৫৪ কাঠা আয়তনের একটি প্লট কেনা হয়। এরই মধ্যে জমির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে। এ জমির উপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘সউদী আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
সউদী আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে এমএ মান্নান বলেন, চ্যান্সারিতে প্রবাসীদের স্বস্তিদায়ক বসার জায়গা, পানিসহ প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায়, বিদেশী প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য বার বার প্রতিনিধিদের বিদেশ সফর করেন। বার বার বিদেশ সফর থেকে বিরত থাকতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন। এ সংশ্লিষ্ট এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি হলে ধরা যায়, কিন্তু অপচয়ের ব্যয় নির্ধারণ করা যায় না। সময় অপচয় করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় অপচয়। তাই সবাইকে অপচয় রোধ করে দ্রæত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, চলমান বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। তিনি বলেন, বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের আওতায় সাইক্লোন সেন্টারগুলো হবে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য। এগুলো স্কুল হিসাবেও ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব সাইক্লোন সেন্টারের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে সংযোগ সড়ক তৈরি করতে হবে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ও পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য স্থায়ী রিজারভার এবং মাল্টিপারপাস সেন্টার রুম নির্মাণ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প জনবলসহ প্রক্রিয়াকরণ ও অর্থায়নের ধাপ যাতে কমানো যায় সেজন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা এখন থেকেই কাজ শুরু করব। এছাড়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পঞ্চম দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কোনো ব্যয় বাড়ানো হয়নি। যেহেতু প্রকল্পটি পঞ্চমবার সংশোধন করা হয়েছে তাই এটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। জমি নিয়ে মামলা থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৯৯৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা। দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৪৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এছাড়া চাষাড়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদানাইল-আদমজী ইপিজেড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।