Inqilab Logo

শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সিরিয়া থেকে সকল সেনা প্রত্যাহার করা হবে না : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১১:৫৬ এএম

মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সিরিয়ায় কুর্দিদের ওপর তুরস্কের হামলার ঘটনায় নিজ দলেরও কঠোর সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্যাপক প্রাণহানির পর এবার তিনি জানালেন সব সেনা প্রত্যাহার করা হবে না। কিছু সেনা রয়ে যাবে সিরিয়ায়। সেনারা থাকবে সিরিয়ার অন্য প্রান্তে, তেল রক্ষায়। এই নতুন ব্যবস্থা ইসরায়েল ও জর্ডানের অনুরোধে করছেন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।
ট্রাম্প বলেন, জর্ডানের দক্ষিণ সীমান্তে একটি গ্যারিসন স্থাপন এবং দেশের অন্য কোথাও তেলের সুরক্ষা নিশ্চিতে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বল্প মাত্রার সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে। সীমিত সংখ্যক সেনাসদস্য দেশটিতে অবস্থান করবেন।
তিনি বলেন, তেলের সুরক্ষার বাইরে সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির আর কোনও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমাদের তেল সুরক্ষিত রাখা দরকার। ইসরায়েল ও জর্ডানের অনুরোধে দক্ষিণ সিরিয়াতেও সীমিত সংখ্যক মার্কিন সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে।
এর আগে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে; এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। তিনি বলেন, তেলের খনিগুলোর নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে কিছু সেনা উত্তর সিরিয়ায় রেখে দেওয়া হতে পারে। সেখানে কুর্দি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা তেল ক্ষেত্রগুলো যাতে আইএস বা অন্য কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দখলে চলে না যায় সে বিষয়টি তদারকির জন্য ওই অঞ্চলে ২০০ মার্কিন সেনা মোতায়েন রাখা হবে।
আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, দুই সপ্তাহ আগে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পক্ষে ট্রাম্প একাধিকবার আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও বলা হচ্ছিল, তিনি কুর্দিদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। কারণ ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার লড়াইয়ে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) ছিল মার্কিন সেনাদের মূল ভরসা। আর এসডিএফকে পাল্টা জঙ্গি সংগঠন বলে থাকে তুরস্ক।
তাই সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কুর্দিদের তুর্কি হামলার মুখে একা ছেড়ে দেওয়ায় ট্রাম্প নিজের সমর্থকদেরও সমালোচনার মুখে পড়েন।
ট্রাম্প বলেন, ‘দুই বড় গ্রæপের মাঝখানে কেন আমরা আমাদের সৈন্যদের রেখে দেব? হাজার হাজার সম্ভাব্য মানুষ, তারা যুদ্ধ করছে, আমি মনে করি না। আমি নির্বাচিত হয়েছি আমাদের সেনাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’
সিরিয়ার কুর্দিনিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চল থেকে কুর্দিদের হটাতে হামলা শুরু করে তুরস্ক। দেশটির লক্ষ্য হচ্ছে, সীমান্তের ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলে তুরস্কে অবস্থান নেওয়া সিরিয়ার শরণার্থীদের মধ্যে অন্তত ২০ লাখকে সরিয়ে সেখানে রাখা। তুর্কি হামলার পর এখন পর্যন্ত তিন লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সীমান্ত থেকে কুর্দি বাহিনীকে সরে যাওয়ার শর্তে পাঁচ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুরস্ক। কুর্দি বাহিনীর সরে যাওয়ার সময় আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ১০ টায় শেষ হচ্ছে। তবে এ সময় বাড়ানোর সম্ভাবনার বিষয়টি এখনো বাতিল করেননি ট্রাম্প।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ