গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন মুসল্লিরা। এ সময় তারা ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দোষিদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউন হলের আল্লাহ্ করিম মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ শুরু হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে তারা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেসের (ইসকন) কার্যক্রম বন্ধের দাবি তুলেছেন। এ ছাড়া ‘রসুল (স.)-এর জন্য উৎসর্গ করা রক্ত বৃথা যেতে দেব না’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব বর্মণ জানান, ‘ভোলার ঘটনায় নিহতের বিচারের দাবিতে সকাল থেকে তারা আল্লাহ্ করিম মসজিদের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সেখানে মাইকের ব্যবস্থা করে তারা বক্তৃতা দেন। বক্তৃতা শেষে তারা সবাই টাউনহলের সড়কে নেমে মিছিল করেন। মিছিলের পর সড়কে বসেই বক্তৃতা দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ভোলায় পুলিশের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ উল্লেখ করে গুলি চালানো কর্মকর্তাদের বিচারের দাবি করেন।
মুসল্লিদের বিক্ষোভের কারণে প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় টাউনহল সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।
তবে সর্বশেষ সাড়ে ১২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুসল্লিরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘তৌহিদি জনতা’র সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।