গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে নগর সরকারের স্বপ্ন দেখেন না ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। এটাকে রাজনৈতিক উল্লেখ করে তা সরকারের হাতেই রাখতে চান তিনি। বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও রেডিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে গতকাল শনিবার এক মতবিনিময়কালে নগর সরকার সম্পর্কে তার মতামত ব্যক্ত করেন। গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি আধুনিক ঢাকা গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। নগর সরকারের স্বপ্ন দেখেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, না, দেখি না। কখনই দেখিনি। এটা এই মুহূর্তে হবে না, এটা কমপ্লিকেটেড করে...। আমরা নিজেরা প্রমাণ করি কাজ করতে পারি। তারপর সরকারের মধ্যে সরকার, বাংলাদেশের পলিটিক্সের মধ্যে এটা হানিফ সাহেব শুরু করেছিলেন, কখনও সাড়া পাননি। এরপর যারা করেছেন তারাও..।
আমাদের কাজ করতে করতেই প্রমাণ করতে হবে শহরের এই দুর্বলতাগুলোর জন্য আমাদের শক্তিশালী করা দরকার। আমি বলেছি যে, আমাদের যদি ১০০ জন পুলিশ দেয়া হয়, এনভায়রনমেন্ট পুলিশ, যা অনেক দেশে আছে... এটা হলে ঢাকা শহরের চেহারা বদলে দিতে পারি।
মেয়র আনিসুল হক বলেন, নগর সরকার, এটা একটা রাজনৈতিক বিষয়। সরকার তাদের হাত থেকে পুলিশকে কতটা ছাড়বে, ওয়াসাকে ছাড়বে কতটা, ৫৬টা অর্গানাইজেশন কাজ করে। সময়তো বদলায়। এটাই যদি আমার মুখ্য হয়ে যায় তাহলে তো কাজ করতে পারব না।
এসময় তিনি নগর উন্নয়নে বাস্তবধর্মী পরিকল্পনার ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে নগরীকে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওয়ায় আনা, নগরীতে বাস সার্ভিস চালু করা, বাসা বাড়ি, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে নিজ উদ্যোগে বর্জ্য অপসারণ করাসহ বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন ঢাকা সিটি উত্তরের নগর পিতা। আগামীতে ৫ বছরের মধ্যে প্রতিটি বাড়িতে ফুল গাছ পৌঁছে দেয়ার কথাও জানান তিনি।
নগরীতে পানিবদ্ধতা তৈরিতে রাজধানীর খালগুলো দখল হয়ে যাওয়াই বড় সমস্যা হিসেবে দেখেন উত্তরের মেয়র।
মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় ৯ মাসে নিজের সফলতা ও আধুনিক ঢাকা নির্মাণে নানা পরিকল্পনা ও জবাবদিহিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
ঢাকার প্রায় ১০টি স্থান থেকে অবৈধ ট্রাক-বাসস্ট্যান্ড তুলে দেয়া, রাজধানী থেকে বিলবোর্ড অপসারণের বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের নানা প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। এসবের সঙ্গে কারা জড়িত তা সকলেরই জানা আছে। হাজার হাজার কোটি টাকার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছি। এমন পরিস্থিততে কাজ করা কঠিন। এক্ষেত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সহযোগিতার কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নতুন বার্তা ডটকমের সম্পাদক সরদার ফরিদ আহমদ, দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, জাগোনিউজ ২৪ ডটকমের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুজন মাহমুদ, বাংলামেইল ২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক মাকসুদুল হায়দার চৌধুরী, এনটিভি অনলাইনের খন্দকার ফখরুদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
এছাড়া রেডিও টুডের প্রধান বার্তা সম্পাদক আবুল বাসার সেলিম (সেলিম বাসার), জাগো এফএমের স্টেশন ম্যানেজার উদয় চৌধুরী, রেডিও ধ্বনির শরীফ মুজিব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।