Inqilab Logo

শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পিরোজপুরে তিনটি মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর, আটক ১

পিরোজপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০১৯, ৩:১২ পিএম

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় একই দিনে তিনটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ভোর রাতে নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া এলাকায় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ সেবাশ্রম ও কালি মন্দির, কলারদোয়ানিয়া বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বাজার সংলগ্ন শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান পিরোজপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমাদ মাইনুল হাসান। এ সময় স্থানীয়রা মন্দিরে হামলার অভিযোগে কামরুল ইসলাম সুজন নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
আটককৃত কামরুল ইসলাম সুজন (৩০) জেলার নেছারবাদ উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের পুত্র।
এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পিরোজপুরের পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ও নাজিরপুর থানার ওসি মুনিরুল ইসলাম মুনির।
স্থানীয় গৃহবধূ গৌরী মল্লিক জানান, তিনি ভোর বেলা শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের দরজার তালা খুলে রেখে পূজা দেয়ার জন্য ফুল তুলতে যায়। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখে এক লোক বাড়ী থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি বিষয়টি বুঝতে পারেনি। মন্দিরে ঢুকে দেখেন মন্দিরের সকল প্রতিমা ভাংচুর করা। এরপর লোকজন ডাকতে ডাকতে ঐ লোককে আর পাওয়া যায়নি। এর কিছু সময় পরে জানতে পারি একই গ্রামের আরেকটি মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাংচুরের সময় লোকজন তাকে আটক করেছে। আমি সেখানে গিয়ে তাকে চিনতে পারি। তাকেই আমাদের বাড়ী থেকে বের হতে দেখেছি।
একই গ্রামের উজ্জল মল্লিক জানান, তার কাকীমা সবিতা মল্লিকের চিৎকার শুনে সে সহ কয়েকজন এসে মন্দিরের ভিতরে প্রতিমা ভাংচুর করার সময় কামরুল ইসলাম সুজনকে হাতে নাতে ধরে ফেলি।
নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অনুপ কুমার মন্ডল জানান, আজ ভোর পৌনে ছয়টা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে একই এলাকার তিনটি মন্দিরে ঢুকে ভেতরে থাকা প্রতিমা ভাংচুর করেছে কামরুল ইসলাম সুজন। এসময় আশেপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরে বৈঠাকাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রতিমা ভাংচুরের কথা স্বীকার করেছে।
নাজিরপুর থানার ওসি মো. মুনিরুল ইসলাম মুনির জানান, আটক কামরুল ইসলাম সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ