নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৬-১৭ মওশুমের ঘরোয়া ক্রিকেটের সূচী চূড়ান্ত ষ এনসিএল সেপ্টেম্বরে ষ বিসিএল জানুয়ারিতে
স্পোর্টস রিপোর্টার : ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওরা। শুধু তাই নয়, এই টুর্নামেন্টে টানা দু’আসরের শিরোপা জয়ী দল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। আর এই দলটিকেই নাকি কাঁদিয়ে ছাড়লো অপেক্ষাকৃত ছোট ক্লাব আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। গতকাল ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আরামবাগ সাডেন ডেথে শেখ জামালকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কাটলো। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে ড্র ছিলো। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোন দল গোল করতে না পরায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে দু’দলই চারটি করে গোল করায় ফলাফল দাঁড়ায় ৪-৪। যে কারণে সাডেন ডেথের ব্যবস্থা করা হয়। সাডেন ডেথে আরামবাগ গোল করলেও ব্যর্থ হয় শেখ জামাল। আর এই ব্যর্থতাই তাদেরকে ছিটকে দেয় ফেডারেশন কাপ থেকে। ফলে ৫-৪ গোলের জয় নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে আরামবাগ। নির্ধারিত সময়ে শেখ জামালের পক্ষে গোল করেন ডিফেন্ডার মোহাম্মদ লিংকন ও অধিনায়ক ওয়েডসন এনসেলমে এবং আরামবাগের পক্ষে দু’গোল শোধ দেন ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইয়োকো সামনিক ও নাইজেরিয়ান ফরোওয়ার্ড কেস্টার এ্যাকন। টাইব্রেকারে আরামবাগের হয়ে গোল করেন ঈসা ইউসুফ, সাজ্জাদুজ্জামান পলাশ, আব্দুল হামিদ ও কেস্টার এ্যাকন। গোল মিস করেন ইয়োকো স্যামনিক। পক্ষান্তরে জামালের হয়ে গোল করেন এমেকা ডার্লিংটন, ওয়েডসন এনসেলমে, ইয়াসিন খান এবং ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে। গোল মিস করেন এনামুল হক এবং কেষ্ট কুমার বোস। আর সাডেন ডেথে মনসুর আমিন গোল করে জয়ের আনন্দে ভাসান আরামবাগকে।
ফেডারেশন কাপের এবারের আসরে গ্রæপ পর্বে শেখ জামালের শুরুটা হয়েছিলো ৬-২ গোলে বারিধারাকে হারিয়ে। অন্যদিকে আরামবাগ গ্রæপের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী ঢাকা আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে চমক দেখিয়েছিলো। সেই চমক তারা অব্যাহত রাখলো কোয়ার্টার ফাইনালে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েও।
কাল ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে লড়ে শেখ জামাল। তবে দু’দলই সতর্ক সূচনা করে। এমেকা ডারলিংটন, ল্যান্ডিং ডারবো ও ওয়েডসন এনসেলমের সমন্বিত আক্রমণে শেখ জামাল গোলের সুযোগ সৃষ্টি করলেও আরামবাগের খেলার ধারায় ছিল রক্ষণাত্মক মনোভাব। সঙ্গে পাল্টা আক্রমণও করে তারা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড কেস্টার এ্যাকন ও দ্রæত গতির দুই উইঙ্গার আবু সুফিয়ান সুপির ও জাফর ইকবালকে নিয়ে আরামবাগ তটস্থই রাখে জামালকে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও ম্যাচের ২৩ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় শেখ জামাল। এসময় মাঝমাঠ থেকে এনামুলের হালকা পুশ আরমাবাগ ডিফেন্সের মাঝে দিয়ে থ্রু করেন ওয়েডসন। এমেকার কাছে বল গেলেও তিনি ব্যর্থ হন। আরামবাগ গোলরক্ষক মিটুল হাসানকে একা পেয়ে এমেকা ডান পায়ে শট নেন। তার শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে দেন মিটুল। ৪২ মিনিটে জামালকে এগিয়ে নেন ডিফেন্ডার লিংকন। আরামবগের ডিফেন্ডারদের মনোসংযোগ ছিলো ওয়েডসন, এমেকা ও ল্যান্ডিংয়ের দিকে। এ সুযোগটাই নেন লিংকন। দলীয় অধিনায়ক-হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড ওয়েডসন এনসেলমের পাস বক্সে রিসিভ করে উঁচু শটে গোল করেন লিংকন (১-০)।
৪৫+১ মিনিটে জামালকে সেমিফাইনালের পথে আরও এগিয়ে দেন অধিনায়ক ওয়েডসন। এসময় মাঝমাঠ থেকে নিখুঁত একটি থ্রু দিয়েছিলেন মিডফিল্ডার এনামুল হক শরিফ, তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মার্কারকে পাশ কাটিয়ে প্লেসিং শটে ব্যবধান বাড়ান ওয়েডসন (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকে আয়েসিভাব নিয়ে বিরতিতে যায় শেখ জামাল। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে যে নাটকীয়তা অপেক্ষা করছিল তা তাদের জানা ছিলো না। মাত্র আট মিনিটের এক ঝড়ে যেন লন্ডভন্ড হয়ে যায় অভিজাতপাড়ার দলটি। ৬১ মিনিটে দ্রæতগতির উইঙ্গার জাফর ইকবালের একটি ক্রস থেকে জোরোলো হেডে গোল করেন আরামবাগের ক্যামেরুনের মিডফিল্ডার ইয়োকো সামনিক (১-২)। গোল পেয়ে উজ্জিবীত আরামবাগ সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালায়। সফলও হয় তারা। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইয়োকো সামনিকের থ্রু পাস থেকে একক নৈপুণ্যে গোল করে সমতা আনেন কেস্টার এ্যাকন (২-২)। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে প্রচÐ চাপ সৃষ্টি করলেও আর গোল পায় না জামাল। ফলে অমিমাংসিত ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও কোন দল গোল পায়নি। পরে টাইব্রেকারে ব্যবস্থা করা হলে দু’দলই চারটি করে গোল পায়। ম্যাচ গড়ায় সাডেন ডেথে। সাডেন ডেথের প্রথম শটে আরামবাগের মনসুর লক্ষ্যভেদ করেন কিন্তু জামালের কেষ্ট কুমার বোস বল বাইরে মারলে নাটকীয় জয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় আরামবাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।