নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দলের সামনেই সুযোগ ছিল এক ম্যাচ হাতে রেখে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার। কিন্তু পারল না জার্মানি, পোল্যান্ডের কেউই। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ‘সি’ গ্রæপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি গোলশূন্য ড্রয়ে শেষ হয়েছে। সাঁ-দেনিতে গেলপরশু রাতে জার্মানির শুরুটা হতে পারতো দুর্দান্ত। চতুর্থ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মারিও গোটসে; কিন্তু মিডফিল্ডার জুলিয়ান ড্রাক্সলারের ক্রসে বায়ার্ন মিউনিখের এই ফরোয়ার্ডের হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ষষ্ঠদশ মিনিটে গোল করার মতো অবস্থানে বল পেয়েছিলেন টনি ক্রুস। ছুটে এসে টমাস মুলারের পাসে ঠিকমতো শট নিতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে ব্যস্ত পোলিশরা ভালো কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য সমানে সমান খেলে পোল্যান্ড। প্রথম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা পায় তারা; কিন্তু কামিল গ্রোসিচকির গোলমুখে বাড়ানো দারুণ এক ক্রস ফাঁকায় পেয়েও মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ ফরোয়ার্ড আর্কাদিউস মিলিক। ৫৯তম মিনিটে জার্মান রক্ষণের দুর্বলতায় ডি বক্সের সামনে বল পেয়ে যান অরক্ষিত লেভানদোভস্কি। কিন্তু যথেষ্ট সময় পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ গত মৌসুমে বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা। ৬৮তম মিনিটে আবারও চরম ব্যর্থ মিলিক; ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় বল পেয়ে এবার পা লাগাতেই পারলেন না। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ডি বক্সে বল পেয়েই আচমকা শটে চেষ্টা চালান মেসুত ওজিল। চোটের কারণে না খেলা ভয়চেখের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া লুকাস ফাবিয়ান্সকি এক হাতে কর্নারের বিনিময়ে তা ঠেকান। দুই ম্যাচ শেষ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। পোল্যান্ডের পয়েন্টও ৪।
একই দিন সন্ধ্যায় গ্রæপের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনকে ২-০ গোলে হারায় নর্দান আয়ারল্যান্ড। এই জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে প্রথমবার ইউরোয় খেলার সুযোগ পাওয়া দলটি। ইউক্রেন এখনও কোনো পয়েন্ট পায়নি।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যার ম্যাচে এদেরের দুর্দান্ত গোলে টানা দ্বিতীয় জয়ে শেষ ষোলোতে উঠে গেছে চার বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ১-০ গোলের এই হারে নকআউট পর্বে ওঠার পথে ধাক্কা খেল সুইডেন। জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো তারকা থাকার পরও দলটির আক্রমণভাগ টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও জ্বলে উঠতে পারেনি। দুই ম্যাচে ১৮০ মিনিটের লড়াইয়ে একবারও প্রতিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট নিতে পারেনি তারা। প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারানোর আত্মবিশ্বাসে খেলতে নামা ইতালি তুলুজে শুরুটা করে সাধারণ মানের। বল দখলে তাদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে ছিল সুইডেন। দুদলের আক্রমণেও তেমন কোনো ধার ছিল না। গোলের লক্ষ্যে উভয় পক্ষই দুটি করে শট নেয়, তবে তার কোনোটিতেই কোনো গোলরক্ষককে পরীক্ষায় পড়তে হয়নি।
অনেকটা মাঝমাঠ কেন্দ্রিক প্রথমার্ধের ফুটবলের পর দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই জমে ওঠার ইঙ্গিত মেলে। তবে এই অর্ধেরও প্রথম ২০ মিনিটে কেউই কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। ৫৯তম মিনিটে বল পায়ে বিনা বাধায় সুইডেনের ডি বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মার্কো পারোলো। অনেকটা সময় পেয়েছিলেন; কিন্তু গোলে শট নেবেন না সতীর্থকে পাস দেবেন, তার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করার সুযোগে বল বিপদমুক্ত করে রক্ষণ। ৮২তম মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে উল্লেখযোগ সুযোগটি পায় ইতালি; কিন্তু এ যাত্রায় বাঁধ সাধে দুর্ভাগ্য। লাৎসিওর মিডফিল্ডার পারোলোর হেড ক্রসবারে লাগে। এর খানিক পরেই এদেরের সেই অসাধারণ গোল। বাঁ-দিক থেকে বল পায়ে প্রতিপক্ষের তিন জনের মধ্যে দিয়ে অনেকটা আড়াআড়ি দৌড়ে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইন্টার মিলানের ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পরেই ব্যবধান বাড়তে পারতো; তবে পিএসজির মিডফিল্ডার থিয়াগো মোত্তার শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ইতালির কমপক্ষে ‘ই’ গ্রæপের রানার্সআপ নিশ্চিত হয়ে গেল। রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনের পয়েন্ট সমান ১। বেলজিয়ামের পয়েন্ট ০।
একনজরে ফল
জার্মানি ০-০ পোলেন্ড
ইউক্রেন ১-২ নর্দান আয়ারল্যান্ড
ইতালি ১-০ সুইডেন
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।