নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : রোমাঞ্চকর এক জয়। মাঠের সেই রোমাঞ্চের রেণু ছড়িয়ে গেল উপচে পড়া গ্যালারিতে। এমনকি ডাগআউটেও। বেশ কবার প্রায় হাতাহাতি লেগে যাওয়ার জোগাড়। দুই দুটি লাল কার্ড। ইকুয়েডর কোচ তো বহিষ্কৃতও হলেন। কোপা আমেরিকার প্রথম নকআউট ম্যাচে জমজমাট উত্তেজনা। তাতে ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল যুক্তরাষ্ট্র। আগামীকাল ভোরে নিজেদের ম্যাচটা জিতলে পারলে শেষ চারে আর্জেন্টিনা পড়বে স্বাগতিকদের সামনেই।
ইকুয়েডর নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। সব মিলিয়ে ম্যাচের সেরা দল ছিল তারা। বিশেষ করে ম্যাচের শেষ ২৫ মিনিট তো একের পর এক আক্রমণ করে গেল। কিন্তু কখনো ক্রসবারে হাওয়া লাগিয়ে, কখনো ডান বা বাঁ পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে গেল বল। এনার ভ্যালেন্সিয়ার হেডারগুলোও খুঁজে পেল না ঠিকানা। আর তাই ইকুয়েডর কোচের ‘হেড’-এ বারবার উঠে গেল হতাশার হাত। আক্ষরিক অর্থেই যেন মাথার চুল ছিঁড়ছিলেন কোচ!
হতাশ হওয়ারই কথা। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচে তাঁর দল ফিরে এসেছিল দারুণভাবে। ২২ মিনিটে ডেম্পসি আর ৬৫ মিনিটে জারডেসের গোলে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। ৭৪ মিনিটে ২-১ করেন আরোয়ো। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করেও সেই সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি ইকুয়েডর, যেটি হয়তো তাদের টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে পারত।
১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধ শুরুই হয় যেন টেনশন নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র মরিয়া তাদের এক গোলের লিড ধরে রেখে ব্যবধান বাড়াতে। ইকুয়েডর মরিয়া সমতা ফেরাতে। এরই প্রভাব পড়ে ৫২ মিনিটে। লুইস আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ইকুয়েডরের খেলোয়াড়েরা প্রতিবাদে ঘিরে ধরেন রেফারিকে। ছুটে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের খেলোয়াড়েরাও। সেই জটলার মধ্যেই জার্মেইন জোন্স কিছু একটা বলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন। দুই দলই হয়ে যায় ১০ জনের। পরের মিনিটেই আবারও এক হলুদ কার্ড। টেনশন শুধুই চড়ছে!
১০ জনের দল, ইকুয়েডরের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিতেই বেশি প্রভাব পড়ে বলে মনে হচ্ছিল। ৬০ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়া সমতা ফেরানোর উৎসবে মেতেওছিলেন। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা উড়িয়ে দেন। ৬৫ মিনিটে বক্সে হেড করে জারডেস বল পাঠান ডেম্পসির কাছে। ডেম্পসির শট আবার ফিরে আসে। সেটাই জালে পাঠিয়ে ২-০ করেন দেন জারডেস। এক পা সেমিফাইনালে দিয়ে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
ইকুয়েডর হতাশায় ভেঙে না পড়ে একের পর এক আক্রমণ শানায়। ৭৪ মিনিটে লাইফলাইন পেয়েও যায় আরোয়োর গোলে। ৭৬ মিনিটে এনার ভ্যালেন্সিয়ার হেড গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। না হলে ম্যাচের ফল হয়তো অন্য রকম হতো। শেষ পর্যন্ত হার মেনেই ফিরতে হলো ইকুয়েডরকে। স্বাগতিকদের শেষ চার যাত্রা টুর্নামেন্টের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিল। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা নাকি ভেনেজুয়েলা, সেটা ঠিক হবে আগামীকালই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।