রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সীতাকুন্ডে চলতি মৌসুমে সবজি দাম পাইকারীতে কম হলেও খুচরা বাজারে সবজির দাম দ্বিগুন বলে জানা গেছে। এতে করে উপজেলার ৮৫৪০ জন কৃষক পরিবার সবজির দাম ভাল পেলেও তারা সবজির প্রকৃত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। ঠিক তেমনি ভাবে সল্প আয়ের অসংখ্য চাকুরীজীবি মানুষও সবজির দাম বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। এখানকার কৃষক পরিবারগুলো দিনরাত পরিশ্রম করে শক্তমাটি উপরিয়ে জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফসল ফলায়। বর্তমানে সবজির দাম একটু বেশি এবং জমিতে সবজির উৎপাদনও ভাল হয়েছে।
কিন্তু তারা যে হিসেবে সবজির দাম পাওয়ার কথা ছিল সে হিসেবে সবজির দাম পাচ্ছেনা। এ ক্ষেত্রে অধিক লাভবান হচ্ছে খুচরা দোকানিরা। তারা ২০ টাকার সবজি ৩০টাকা থেকে ৩৫টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে বলে প্রায় সময় ক্রেতারা অভিযোগ করেন। এক কথাই দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন রকম সবজির। এতে করে দিশেহারা ও বিপাকে পড়ছে সল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। এ বিষয়ে বাজারে আসা এক ক্রেতা আব্দুল আলিম দুঃখ করে বলেন,বর্তমানে সরকারি চাকুরি জীবীদের বেতন ভাল। তবে আমাদের মত প্রাইভেট যারা চাকুরিজীবী রয়েছে তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। আর সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধি হলে তার সাথে সাথে নিত্য পূণ্যের দামও লাগামহীন ভাবে বাড়তে থাকে। বর্তমানে উপজেলা বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারী দরে টমেটো কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। আর খুচরা বাজারে দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৯০/১০০ টাকা,বর্বটি কেজি ৪০টাকা,আর খুচরা বাজারে ৬০টাকা,বেগুন পাইকারীতে ৩০ টাকা আর খুচরাতে ৫০/৬০ টাকা,ঢেঁড়শ পাইকারীতে ৩৫ ও খুচরাতে ৫০/৬০ টাকা, চিচিংগা পাইকারীতে ২০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
এভাবে খুচরা বাজারে দ্বিগুন দাম বিভিন্ন রকম সবজির। উপজেলার একাধিক কৃষকরা জানান গেল বর্ষার মৌসুমে তারা সবজির চাষ করে তা পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গেছে। এতে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা লোকসান হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে একটু সবজির দাম বেশি ঠিক আছে। তবে তেমন বেশি দাম বলা যাবেনা। আমাদের থেকে পাইকারীতে সবজি কিনে তা দোকানিরা দ্বিগুন দামে বিক্রি করছে বলে জানান ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাকখালী গ্রামের কৃষক মোঃ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, গত তিনমাস পূর্বে তার ৬০শতক জমিতে ঢেঁড়শ এর চাষ করেছেন। এতে তার খরচ পরেছে ২৫ হাজার টাকা। তিনি এপর্যন্ত পাইকারীতে ৩৫ টাকা করে কেজি ঢেঁড়শ বিক্রি করেছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। বাজার দর এ অবস্থা থাকলে আরো তিনি প্রায় ৩০ হাজার টাকার মত ঢেঁরশ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।
অপরদিকে সীতাকু- উদ্ভিদ সংরক্ষন উপ-সহকারী কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্রনাথ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন,বর্তমানে বাজারে যে সবজি বিক্রি হচ্ছে তা গ্রীষ্মকালীন। চলতি মৌসুমে উপজেলার বড় দারোগারহাট থেকে শুরুকরে ফৌজদার হাট পর্যন্ত মাঠের পর মাঠ সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২০ হেক্টরে লাউ চাষ,বর্বটির ১৬০,করলা ১০৫,ঢেঁড়শ ১৮৫,চিচিংগা ১১৫,ঝিংগা ১৩৭,পাট শাক ৩০ হেক্টরসহ আরো অন্যান্য সবজি মিলে মোট ১৪০০ হেক্টর জমিতে ৮৫৪০ জন কৃষক পরিবার সবজির করেছেন। এখন সবজির দাম ভাল। তাই কৃষক পরিবার সবজি বিক্রি করে অনেক লাভবান হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।