গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা শহরের যানজট সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ইউলুপ স্থাপন তারই অংশ। দীর্ঘদিন থেকেই যানজট নিরসনে আশার আলো দেখিয়ে আসছে ইউলুপ। উন্নত বিশ্বে ইউলুপ চালু থাকলেও রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজ ও হাতিরঝিল সংলগ্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো নির্মীয়মাণ ইউলুপের নির্মাণকাজ এখন শেষ পর্যায়ে। ঈদের পর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পরীক্ষামূলকভাবে এই ইউলুপটি খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি কোরের হাতিরঝিলের প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর শাকিল হোসাইন বলেন, রামপুরা ব্রিজসংলগ্ন নর্থ ও সাউথ ইউলুপ দুটির মধ্যে সাউথের কাজের অগ্রগতি বেশ ভালো। এখন শুধু শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা না হলেও জনগণের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদুল ফিতরের পর দক্ষিণের এই ইউলুপটি পরীক্ষামূলকভাবে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সূত্র মতে, হাতিরঝিল এলাকার সমন্বিত উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিটিভি ভবনের সামনে সাউথ ইউলুপটি নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। হাতিরঝিলের দক্ষিণ পাশে বিটিভি ভবনের সামনে বনশ্রী এলাকাকে সংযোগকারী সাউথ ইউলুপটির কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে হলেও মেরুল-বাড্ডা সংলগ্ন নর্থ ইউলুপটির কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছর। যে কারণে এটির কাজ শেষ হতে এখনও অনেক সময়ের ব্যাপার।
প্রত্যাশিত ইউলুপ দুটির বিষয়ে প্রত্যাশা যেমন রয়েছে-একইভাবে চালু হতে বিলম্ব হওয়া নিয়েও নগরবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই। ইউলুপ দুটি ঘিরে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে মেরুল বাড্ডার বাসিন্দা সেলিমুজ্জামান শান্ত জানান, নানা কারণে এ ইউলুপটি এ অঞ্চলের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বনশ্রী থেকে আসা যানবাহনগুলো বামে মোড় নিয়ে খিলগাঁও-মৌচাকের দিকে যায়। আবার পশ্চিম রামপুরা, মীরবাগ, হাজীপাড়া, মৌচাক ও খিলগাঁও থেকে আসা যানবাহনগুলো ব্রিজের পূর্বপ্রান্তে এসে বামে মোড় নিয়ে হাতিরঝিল, ডানে মোড় নিয়ে বনশ্রী প্রধান সড়ক এবং সোজা চলে যায় মেরুল-বাড্ডার দিকে। একইভাবে উত্তর প্রান্তেও হাতিরঝিল থেকে বের হওয়া গাড়িগুলো ডানে মোড় নিয়ে রামপুরার দিকে, বামে মোড় নিয়ে কুড়িল বিশ্বরোডের দিকে যায়। এছাড়া এয়ারপোর্ট, উত্তরা, কুড়িল থেকে আসা যানবাহনগুলোকেও রামপুরা ব্রিজ হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হয়। ফলে নানা গন্তব্যের এই সম্মিলন স্থলটিতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। প্রতিদিন এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকা যেন নিত্যঘটনা। আর সে কারণেই এ ইউলুপ দুটির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।
তবে কাজের ধীরগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে উত্তর বনশ্রীর বাসিন্দা এমদাদুল হক সৈকত বলেন, গুরুত্ব দিয়ে কাজ না করায় ইউলুপগুলো যথাসময়ে চালু হয়নি। দু’দিন কাজ হয়, চার দিন বন্ধ থাকে। এখানে লোকবলও পাঁচ-সাতজনের বেশি দেখা যায় না। এত অল্প শ্রমিক নিয়ে কচ্ছপগতিতে কাজ করলে কীভাবে এর কাজ শেষ হবে। এ কারণেই ৮ মাসের কাজ করতে ২ বছরের বেশি সময় লেগে যাচ্ছে।
ইউলুপ দুটির নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রসঙ্গে হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী জামাল আখতার ভূইয়া বলেন, সাউথ ইউলুপটির ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই বাকি কাজও শেষ হবে। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু দৃষ্টিনন্দন ছোটখাটো স্থাপনা যুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নর্থ ইউলুপটির কাজ শেষ করতে আরও সময় লাগবে। তবে কাজ শেষ করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই ইউলুপ দুটি যান চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।