Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কের শর্ত মতেই সিরিয়ায় কাজ করা উচিত যুক্তরাষ্ট্রের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৪৩ পিএম

উত্তর সিরিয়ায় তুরস্ককে সাথে নিয়ে তাদের শর্ত মেনেই কাজ করতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। গত মঙ্গলবার হাডসন ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ মাইকেল ডোরান এই অভিমত জানিয়েছেন। সিরিয়া বিষয়ক প্যানেলে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘পিকেকে’র সাথে জোট বাঁধায় তুরস্কের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি একে ‘বোকামি’ বলে আখ্যায়িত করেন।

ডোরান বলেন, ‘সবাই জানে যে আমরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আজ হোক বা কাল সেখান থেকে চলে আসব। তুরস্ক চিরকাল সেখানে থাকবে। আমাদেরকে তাদের শর্ত মেনেই বৃহত্তর ভিত্তিতে সেখানে কাজ করতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মানবিক উদ্বেগ থাকতে পারি, আমরা আক্রমণাত্মকভাবে তাদের জবাব দিতে পারি, আমাদের মতামতের ভিন্নতা থাকতে পারে তবে ভিন্ন অবস্থান ও কৌশলগত সাময়িক কোন সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে তৈরি কাঠামোর পরিবর্তে এটি তুরস্কের কাঠামোর মধ্যে থাকা উচিত।’

উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তুরস্কের সেনাবাহিনী প্রবেশের সপ্তম দিন ও অপারেশন পিস স্প্রিংয় শুরুর ছয় দিনের মাথায় ডোরান এই মতামত জানালেন। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আঙ্কারার দুটি মন্ত্রণালয় এবং তিন মন্ত্রীর উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ডোরান বলেন যে, ‘আঙ্কারার সাথে সম্পর্কের অবনতির জন্য মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই দায়ি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের আঙ্কারার সাথে সুসম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা প্রয়োজন।’

তুরস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বারবার বলে আসছে যে, পিকেকে সমর্থিত পিপলস প্রটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) এর পক্ষে ওয়াশিংটন অবস্থান নেয়ায় তাদের জন্য উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র গঠনের পথ সুগম হয়েছে। ডোরান বলেন, ‘আমরা পিকেকে এসডিএফ হিসাবে নামকরণ করেছি, সেখানে আরব ও ইয়াজিদিদের নিয়ে এসেছি। কিন্তু এই সংস্থার শক্তি কেন্দ্র হিসেবে সবসময় কাজ করেছে পিকেকে। নিজেদেরকেই আমরা মিথ্যা বলেছি বলে আমাদের স্বীকার করে নেয়া উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘ওবামা প্রশাসন পিকেকে অন্য পরিচয়ে চিহ্নিত করেছে।’ ডোরানের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি বড় মিত্রের সাথে দুরত্ব বাড়িয়ে চলেছে যারা ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থান করছে। যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ এবং গোয়েন্দা প্ল্যাটফর্ম রয়েছে এবং মিত্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বসনিয়া ও আফগানিস্তানে কাজ করছে তুরস্ক। তিনি বলেন, ‘একটি বিচ্ছিন্ন দল, চরমপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠনের পক্ষ নিয়ে আমরা মিত্র রাষ্ট্র তুরস্কের সাথে দুরত্ব তৈরি করছি। তারা এমনকি কুর্দিদেরও প্রতিনিধিত্ব করে না। পিকেকে কুর্দি নয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘুদের একটি বিচ্ছিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনকে তুলে ধরেছি, তাদেরকে আমাদের মিত্র তুরস্কের সাথে সমান স্তরে রেখেছি এবং পিকেকে’র হয়ে প্রতাক্ষ ও পরোক্ষভাবে আঙ্কারার সাথে মধ্যস্থতা শুরু করেছি।’ পিকেকে বা ওয়াইপিজি তাদের এলাকায় ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে প্রত্যাখ্যান করেছে, এমনকি তারা উত্তর ইরাকে আঞ্চলিক কুর্দি সরকারেরও বিরোধিতা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়াইপিজি ইরাকের কুর্দিদের সাথে থাকার চেয়ে বরং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ কিংবা ইরানীদের সাথেও সহযোগিতা করতে রাজি হবে।’ এই অঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীটি রাশিয়া এবং ইরানের সাথে যোগ দেবে বলে সতর্ক করেন ডোরান। সূত্র: ডেইলি সাবাহ।



 

Show all comments
  • OmarFaruq ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম says : 0
    আপনি তুরস্কের প্রতি সহনীয় হওয়ার জন্য আপনাকে অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তুরস্ক-যুক্তরাষ্ট্র


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ