Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরিষাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধাসহ আহত ১০

উভয় পক্ষের থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি

সরিষাবাড়ী(জামালপুর)সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:৫১ পিএম

মাত্র ৫ শতক জমির সিমানা বিরোধ নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার দুপুরে উপজেলার ফয়েজের মোড়ে কোটিপতি হামজা গ্রুপ ও ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানদের সাথে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা সবাই সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফয়েজের মোড় এলাকার মোফাজ্জল হোসেনের কোটিপতি ছেলে আমির হামজার সাথে একই জায়গার মোদি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে ৫ শতক জমির সীমনা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। যা নিয়ে এলাকার মাতাব্বরগন বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠক করে আপোষ মিমাংশাও করে দেয়। কিন্তু এলাকার নতুন কোটিপতি আমির হামজা মাতাব্বরদের শালিশকে অগ্রাহ্য করে নিজের মনপুত দখল নিতে চায়। এ নিয়ে আবার বুধবার দুপুরে শালিশ বৈঠকের আয়োজন করে ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান গ্রæপ। শালিশী চলাকালে মাতাব্বরদের উপস্থিতিতে উভয় গ্রæপে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাবিবুর রহমানেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর চালায় হামজা গ্রæপ। বাধা প্রতিরোধের মাঝে আহত হয় ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের পিতা হাছেন আলী (৬৫) মাতা রোকেয়া বেগম (৬০) হাবিবুর (৩৮) আওয়াল (২০) আমির হামজা (৩৮) মাসুদ (৩৫) জাহানারা বেগম (৪৮), শফিকুল ইসলাম (৩৫)সহ আরো ৫/৬ জন। এলাকায় পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করলে খবর পেয়ে সরিষাবাড়ী থানার এএসআই আলী সহ তার সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের বৃদ্ধ পিতা হাছেন আলী জানান, নব্য কোটিপতি আমির হামজা ৫/৬ বছর আগে ফয়েজের মোড়ে ছোটখাট দোকান পাট চালাত। বাড়ী থেকে রাগ করে সিলেটে গিয়ে ইয়াবা হিরোইন ব্যবসা করে রাতারাতি টাকার বনে চলে যায়। মফস্বল এলাকায় দেড়কোটি টাকা ব্যয়ে বাড়ী বানায়, সেই সাথে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হয়ে এলাকার মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছে। তার কাছে কেউ কথা বলতে গেলে টাকার গরম দেখাইয়া থানা পুলিশের ভয় দেখায়। এদিকে কোটিপতি আমির হামজার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমানের বাবার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। ওরা ইচ্ছে করেই আমার সাথে অন্যায় ভাবে বিরোধ করে আসছে। আমার কাছে কেহ জিম্মি নয়। এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মাজেদুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আমার পুলিশ পাঠাই এবং আমার পুলিশ উভয় পক্ষকে সংঘর্ষে না জড়ানোর জন্য আহবান করে চলে আসে। তবে যতটুকু হয়েছে সে সম্পর্কে আমি অবগত আছি এবং থানায় এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আহত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ