Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইন পাসের দাবি সিনেটে

প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী তালিকা দেখে এবং ব্যক্তির অতীত ইতিহাস জেনে
তার কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বান
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ওপর দ্রুত ও কার্যকর আইন করার দাবি জানিয়েছেন ডেমোক্রেট সিনেটর। কানেকটিকাটের সিনেটর ক্রিস মার্ফি আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে ১৪ ঘণ্টার ফ্লোর শুনানি শেষে ভোটাভুটির মাধ্যমে তিনি এই আইন পাসের আর্জি জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে। তার দাবি, সন্ত্রাসী তালিকা দেখে ও ব্যক্তির অতীত ইতিহাস জেনে তার কাছে অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিক সরকার। এ রকম প্রস্তাবনা দিয়ে আইন পাসের দাবি জানিয়েছেন তিনি। অরল্যান্ডোতে সমকামী নাইটক্লাবে গণহত্যার পর তিনি সিনেটে এই দাবি জানিয়েছেন। তার সঙ্গে একমত অন্য সিনেটররাও। তবে এ নিয়ে আইন পাসের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
সিনেটর ক্রিস মার্ফি বলেন, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি প্রস্তাব সিনেটে আটকে আছে। তিনি বলেন, আমি রিপাবলিকান সিনেটরদের আইন পাসের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। এখন সময় শুধু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ওপর আইন করার। মার্ফি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর বন্দুক সহিংসতায় গড়ে ৩০ হাজার ব্যক্তি মারা যায়। আমরা বিতর্কের তারিখের আশায় সিনেটে বসে থাকতে পারি না। আমাদের কিছু একটা করতে হবে। আমাদের চোখের সামনে অরল্যান্ডো নাইটক্লাবে নৃশংস হত্যাকা- হলো। অথচ কিছুই করতে পারলাম না। এতে জনগণ হতাশ। সিনেটর মার্ফি বলেন, আমরা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ওপর দ্রুত আইন পাস করতে চাই। সিনেটে এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক এড়িয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের ওপর যেসব সুপারিশ আছে, সেগুলোরই বাস্তবায়ন হোক। গত বুধবার সকালে বিল নিয়ে কথা প্রসঙ্গে তিনি ২০১২ সালে কানেকটিকাটের স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলের ২৬ শিশুকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি তুলে আনেন। তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের হাতে যাতে অস্ত্র চলে না যায়, সে নিয়ে দ্রুত আইন তৈরিতে তিনি রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট সিনেটরদের রাজি করাতে পেরেছেন। উইসকনসিন সিনেটর টামি বলডুয়িন বলেন, আমার রাজ্যে প্রতিবছর বন্দুক সহিংসতায় অনেক লোক মারা গেছে। এদিকে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ে ন্যাশনাল রাইফেল এসোসিয়েশনের (এনআরএ) সঙ্গে কথা বলবেন। যাতে তালিকাভুক্ত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা অস্ত্র কিনতে না পারে। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি অস্ত্র আইন পাস হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস জেনে তার কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে। কারণ সে সময় মানসিক স্বাস্থ্যের ইতিহাস না জানা থাকায় এক বিকৃত মস্তিষ্কের তরুণের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা হয়েছিল। পরে সে ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২ জনকে গুলি করে হত্যা করে। মার্ফি এখন যে বিলটির প্রস্তাব করছেন, একই রকম প্রস্তাব গত ডিসেম্বরে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর ড্যানি ফিয়েস্টাইন সিনেটে এনেছিলেন। যখন ক্যালিফোর্নিয়ার সান বার্নারডিনোয় ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু রিপাবলিকানদের বিরোধিতার কারণে সেই আইন পাস করা যায়নি। কারণ সিনেটে তখন রিপাবলিকানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র রাখার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত। এ কারণে দেশটিতে অস্ত্র কেনা ও রাখা মামুলি বিষয়। এছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের মধ্যেও বিভক্তি আছে। বিবিসি, গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে দ্রুত আইন পাসের দাবি সিনেটে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ