Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সউদী আরবে পুতিন, শত কোটি ডলারের চুক্তি সই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৯, ১:২৪ পিএম | আপডেট : ৪:২০ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

এক দশকের মধ্যে প্রথম সউদী আরব সফরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার সেখানে তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেয়া হয়। সফরে কয়েক শত কোটি ডলার মূল্যের ২০টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিশ্বে তেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং উত্তেজনা নিরসন করা।

মস্কোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ইরান। সউদী আরব ও ইরানের মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন পুতিনের এই সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। সম্পাদিত চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে এরোস্পেস, সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও কৃষি সংক্রান্ত। গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মধ্যে অন্যতম তথাকথিত ওপেক প্লাস দেশগুলোর বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা নিয়ে। অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ ও এর সদস্য নয় এমন ১০টি সদস্য দেশকে মিলে বলা হয় ওপেক প্লাস। এর সদস্য নয় মস্কো। তবে ২০১৪ সালের পর থেকে তেলের সরবরাহ সীমিত করতে এবং মূল্য বৃদ্ধিতে এই গ্রুপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে রাশিয়া।

সোমবারের চুক্তি স্বাক্ষর বিষয়ে সউদী আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান বলেছেন, সোমবারের চুক্তির মধ্য দিয়ে তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সহযোগিতা ও সম্পর্ক শক্তিশালী করতে নতুন করে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, পুতিন ও সউদী আরবের কর্মকর্তারা সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ২০১৭ সালের অক্টোবরে রাশিয়া ও সউদী আরব একটি সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষর করে। এর ফলে মস্কোর কাছ থেকে শক্তিশালী এস-৪০০ নামের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার পথ উন্মুক্ত হয় রিয়াদের জন্য। কিন্তু সউদী আরব এখনও ওই ব্যবস্থা নেয়নি রাশিয়ার কাছ থেকে। এর পরিবর্তে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনাকেই বেছে নেয়।

সোমবার পুতিন বলেছেন, সউদী আরবের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সুবিধা সম্বলিত সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে রাশিয়া। এ সময় পুতিনকে সউদী আরবের বাদশা সালমান বলেছেন, প্রতিটি বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমরা কাজ করতে চাই। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি আসবে। সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গতি পাবে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া এবং সউদী আরব দুটি দেশই এখন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। তাদের মধ্যে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষ করে ২০১৭ সালের অক্টোবরে প্রথমবার রাশিয়া সফর করেন সউদী আরবের বাদশা সালমান। কিন্তু এক বছর আগে ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সউদী আরবের কনসুলেটের ভিতর হত্যা করা হয়। এরপর সউদী আরবের ক্রাউন প্রিন্স ওই হত্যাকা-কে ঘিরে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েন। এরই এক পর্যায়ে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে হাত মেলানো থেকে বিরত থাকেন পুতিন। সূত্র: আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সউদী আরব-রাশিয়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ