মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রায় দু’দশক পর বৃহস্পতিকে হারিয়ে আমাদের সৌরমণ্ডলে ‘চাঁদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি’টা জিতে নিল বলয় গ্রহ শনি। আরও ২০টি চাঁদের খোঁজ পাওয়া গেল গ্রহটির। তার ফলে, শনির চাঁদের সংখ্যা বেড়ে হল ৮২। চাঁদগুলো হাউইয়ের মওনা কিয়ায় বসানো ‘সুবারু’ টেলিস্কোপের প্রথম ধরা পড়ল। ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নে’র মিরর প্ল্যানেট সেন্টার ওই আবিষ্কারের খবর দিয়েছে।
কার বেশি চাঁদ, সেই ‘যুদ্ধে’ অনেক দিন ধরেই পাল্লা চলছে বৃহস্পতি ও শনি গ্রহের মধ্যে। চাঁদের সংখ্যার দৌড়ে নয়ের দশক থেকেই ‘সেরা’র শিরোপাটি চলে যায় বৃহস্পতির মাথায়। বছর দেড়েক আগে আরও ১২টি চাদের খোঁজ মেলায় সেই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতি। তার চাঁদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ৭৯টি। সেই রেকর্ড কেউ ছুঁতে পারবে বলে নিশ্চিত ছিলেন না জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ৬২টি চাঁদ নিয়ে সেই পিছিয়ে পড়ার ‘প্রতিশোধ’ নিতে কিন্তু খুব বেশি দেরি করল না শনি। গ্রহটির এলাকায় গিয়ে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র আগে ‘ক্যাসিনি’ মহাকাশযানের পাঠানো তথ্যাদি ও ছবি শনির আরও ২০টি চাঁদের অস্তিত্বের কথা জানাল। ফলে, চাঁদের সংখ্যার নিরিখে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও অল্প সময়ের মধ্যেই বৃহস্পতিকে টপকে গেল বলয় গ্রহ।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন ২০টি চাঁদের প্রত্যেকটির ব্যাস ৩ মাইল। তাদের মধ্যে ১৭টি চাঁদ পিছনের ১৭টি কক্ষপথ থেকে প্রদক্ষিণ করছে শনি গ্রহকে। আরও সহজ ভাবে বলতে হলে, নিজের কক্ষপথে শনি ঘুরছে যে দিকে, ঠিক তার উল্টো দিকের কক্ষপথগুলি থেকে বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে তার নতুন ১৭টি চাঁদ। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘রেট্রোগ্রেড ডিরেকশন’। বাকি ৩টি চাঁদ বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করছে সেই দিকেই, যে দিক দিয়ে নিজের কক্ষপথে ঘোরে শনি। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘প্রোগ্রেড ডিরেকশন’।
‘কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স’-এর বিজ্ঞানী স্কট এস শেপার্ড বলেছেন, ‘শনির নতুন যে ২০টি চাঁদের খোঁজ পাওয়া গেছে, তাদের বেশির ভাগেরই বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ৩ বছর। তবে সেই সবক’টি চাঁদই রয়েছে নিজের কক্ষপথে শনির ঘোরার দিকের ঠিক উল্টো দিকের কক্ষপথগুলিতে। রেট্রোগ্রেড ডিরেকশনে। যদিও প্রোগ্রেড ডিরেকশনে শনিকে প্রদক্ষিণ করছে যে তিনটি চাঁদ, তাদের মধ্যে ২টি বলয় গ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় কিছুটা কম। ২ বছর। সেই দু’টি চাঁদ অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কাছে রয়েছে শনির। শনির ৮২টি চাঁদের মধ্যে ৫৩টির নামকরণ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি ২৯টির নামকরণের উদ্যোগ সবে শুরু হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।