পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সউদী আরবের বৃহত্তম তেল স্থাপনা আরামকোর ওপর ইয়েমেনের হুতি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় ২০০ কোটি ডলার ম‚ল্যের তেল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। ব্রিটিশ পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমস এ খবর জানিয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, ড্রোন হামলার পর সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিদিন সউদীআরব ১৩ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছে। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেকে’র বিশ্লেষক ও পরামর্শকদের পক্ষ থেকে যে উপাত্ত জমা দেয়া হয়েছে তা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এর আগে সউদী আরব ওপেকের গবেষণা বিভাগকে বলেছিল যে, তেল উৎপাদন মাত্র ছয় লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল কমেছে। আরামকো স্থাপনার উপর হামলার পর তেলের উৎপাদন স্বাভাবিক করার জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সউদীআরব। হামলার পর থেকে সউদীআরব তার তেল রিজার্ভ থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল সরবরাহ করছে যাতে যোগান ঠিক থাকে। তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা এবং শিল্প-নির্বাহীরা সউদীআরবের তেল উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সউদীআরব তেলের উৎপাদন ৯০ লাখ ব্যারেলের উপরে নিতে পারবে বলে সন্দেহ রয়েছে। এছাড়া, ইয়েমেনের হুথি আন্দোলনের পক্ষ থেকে যে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, সউদীসামরিক বাহিনী সে ধরনের হামলা বন্ধ করতে সক্ষম হবে তারও কোন নিশ্চয়তা নেই। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনের হুতি সমর্থিত সেনারা আরামকো তেল স্থাপনার ওপর ড্রোন হামলা চালায়। ওই হামলার ফলে সউদীতেল স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং তেলের উৎপাদন অর্ধেক কমে গেছে। পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।