গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর অন্যতম শপিংমল ও বিনোদনকেন্দ্র বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটার বিরতিতে বসছে জমজমাট ইফতারের আসর। সিটির ইফতার বাজার জমে ওঠে কেনাকাটার কারণেই। উচ্চ ও মধ্যবিত্তরাই মূলত ইফতার বাজারের মূল ক্রেতা বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। ইফতারের সময় সেখানে প্রতিদিন ঢাকায় বাসরত অনেক বিদেশিও আসেন। পাশ্চাত্য স্টাইলে পরিবেশন করা হয় ইফতার। সব দোকানের সামনে পেতে রাখা আছে রুচিসম্মত মনোরম পরিবেশে চেয়ার-টেবিল। তাতে বসে ইফতার করছেন নানা বয়সের রোজাদার।
ঢাকার বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্ট রোজার প্রথম দিন থেকেই পুরোপুরি ইফতার সংস্কৃতির আওতায়। মার্কেটের আটতলাজুড়ে ৮৩টি ফাস্টফুডের দোকানে বাহারি ইফতারের আয়োজন। সব দোকান ইফতার সামগ্রীতে ঠাসা। মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, দেশি-বিদেশি সব ক্রেতার চাহিদা ও পছন্দের সঙ্গে তাল রেখে নির্বাচন করা হয়েছে ইফতারির আইটেম। প্যাকেজ (প্লেট প্রতি) ইফতার ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তবে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যাটাই বেশি। ইফতারের এক ঘণ্টা আগে বুকিং না দিলে তা সরবরাহ করা সম্ভব হয় না বলে জানান কয়েকজন দোকানি। অনেকে সেখানে ঈদেও কেনাকাটা করতে এসে বাসায় ফেরার সময় ইফতার বাক্স কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। যাদের বাসা দূরে হওয়ায় ইফতারের আগে ফেরা সম্ভব নয়, তারা সেখানেই ইফতার সারছেন। আট তলাজুড়ে বসার জন্য রয়েছে ৪০০ টেবিল, আড়াই হাজারের মতো চেয়ার। ইফতার মেন্যুতে ে খেজুর, মুড়ি, ছোলার স্থান না হলেও ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হালিম, কাবাবসহ আছে আমেরিকান, চীনা, ইন্ডিয়ান, থাই আরও কয়েকটি দেশের আধুনিক খাবার। মেন্যুতে এবার যোগ হয়েছে নতুন নতুন আইটেম। গতবারের চেয়ে দামের পার্থক্যটাও বেশি। তবু আইটেমগুলো রোজাদারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে বলে একাধিক দোকানি মত দেন।
হাতেগোনা দু-একটা বাদে বেশিরভাগ দোকানের নামই বিদেশি শব্দে। যেমনÑ সুইডিশ পিজরিয়া অ্যান্ড গ্রিল, থাই স্পেশাল, মানজেরি ফুড, থাই হাউস, বাসকিন রবিনস, ইন্ডিয়ান ফুড গ্যালারি, সেভেন্টি ওয়ান, হ্যালো, লুসিয়াম পিজা, ইন্ডিয়ান সপাইসি, ফ্রেন্ড কিং, সল্ট গ্রিল, বিএফসি, আমেরিকান ফ্রেন্ড চিকেন লিমিটেড, ফ্রান্স ফুডথথ এ রকমই ইংরেজি নাম। বিক্রেতারা বলেন, ইফতার করতে যারা আসেন তাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত রয়েছেন। অনেক ইফতারির দাম মধ্যবিত্ত রোজাদারদের নাগালের ভেতরেই। মিডনাইট সান ফাস্টফুডে সিঙ্গল ব্রোস্ট চিকেন ২০০ টাকা, ডাবল ব্রোস্ট চিকেন ৩০০ টাকা, ফ্যামিলি ব্রোস্ট ১৫০০ টাকা, চিকেন জিলাপি ১৫০ টাকা, বাটার নান ৬০ টাকা, বিফ বার্গার ১২০ টাকা ও বিফ চিজ বার্গার ১৪০ টাকা। পাশের কলকাতা রুলস-এ স্পেশাল চিকেন রেশমি রুল ১২০ টাকা, চিকেন মসলা ৯০ টাকা, দোকানভেদে একই পদের খাবারের দামও ভিন্ন।
শপিংমলের ৮ম তলায় ফুডকোর্টে ফ্রাইড হাট নামে একটি দোকানে প্যাকেজে (প্রতি প্লেট) এক পিস করে চিকেন ফ্লাই, ডিমচপ, জিলাপি, পেঁয়াজু, পেয়ারা; কলা এক পিস; শসা; মাল্টা; নাসপাতি; খেজুর দুই পিস; আপেল হাফ পিস; গাজর হাফ পিস; ছোলা; ও এক গøাস সরবত ও পানি আধা লিটারের এক বোতল দাম রাখা হচ্ছে ৩৫০ টাকা, আবার কোনো কোনো দোকানে একই আইটেমের দাম রাখা হচ্ছে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।