নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাস্পিয়নশিপের লিগ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ কিশোরী দল। শুক্রবার ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী দল ২-১ গোলে নেপালকে হারিয়ে সেরা দুইয়ে জায়গা করে নিলো। বিজয়ী দলের হয়ে ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপা ও অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র একটি করে গোল করেন। নেপালের পক্ষে এক গোল শোধ দেন ফরোয়ার্ড আমিষা কারকি। এ নিয়ে টুর্নামেন্টের টানা তিন আসরের ফাইনালে খেলছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
দু’বছর আগে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) প্রবর্তিত এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির ওই আসরের ফাইনালে লাল-সবুজরা ১-০ গোলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। তবে গত বছর ভুটানে দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে একই ব্যবধানে ভারতের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হারায় বাংলাদেশ।
টুর্নামেন্টের গত আসরেও গ্রুপ পর্বে নেপালের সঙ্গে দেখা হয়েছিলো বাংলাদেশের। ওই ম্যাচে নেপালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। প্রথম আসরে নিজেদের ঘরে নেপালকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিলেন মারিয়া মান্ডারা। এবারও আসরের ফেভারিট হিসেবে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে ভুটান যায় বাংলাদেশ কিশোরী দল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির চার দলের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা করে শামসুন্নাহারের দল। আর দ্বিতীয় ম্যাচে হিমালয় কন্যাদের হারিয়ে টানা দুই জয় তুলে নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা।
শুক্রবার নেপালের বিপক্ষে ফেভারিট তকমা নিয়ে মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় বাংলাদেশের কিশোরীরা। ম্যাচের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে নেপালী রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। ফলে ১২ মিনিটে ফরোয়ার্ড শাহেদা আক্তার রিপার গোলে এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। এসময় প্রায় মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের পাসে বল পেয়ে নেপালের অর্ধে ঢুকে পড়েন রিপা। তাকে বাধা দিতে ছুটে আসেন প্রতিপক্ষের তিন ডিফেন্ডার। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় তাদের কাটিয়ে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের দর্শণীয় শটে নেপালের জালে বল পাঠান এই ফরোয়ার্ড (১-০)। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ম্যাচের ২৬ মিনিটে অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়রের পেনাল্টি গোলে ব্যবধান দ্বিগুন করে বাংলাদেশ। এই গোলের আগে বাংলাদেশের এক ফুটবলারকে নিজেদের বক্সে ফাউল করেন নেপালী ডিফেন্ডার। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দিলে শামসুন্নাহার স্পট কিকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান (২-০)। তবে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ৬৪ মিনিটে ফরোয়ার্ড আমিষা কারকির গোলে ব্যবধান কমায় নেপাল (১-২)। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শামসুন্নাহারদের খেলায় খুশী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘ফুটবলারদের ধন্যবাদ জানাই, ভালো খেলে ফাইনাল নিশ্চিত করার জন্য। টুর্নামেন্ট খেলতে ঢাকা ছাড়ার আগে আমি বলেছিলাম, সম্পূর্ণ নতুন একটি দল নিয়ে ভুটান যাচ্ছি। প্রত্যাশা ছিল আগের দু’আসরের মতো ফাইনালে খেলার। প্রথম লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এবার শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন। আশাকরছি মেয়েরা তা করে দেখাতে পারবে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা থাকলেও মেয়েরা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে খেলছে। লিগের শেষ ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে। আশাকরি ওই ম্যাচে আমার মেয়েরা আরো কিছু শিখতে পারবে। এরপর ফাইনালে লড়বে শামসুন্নাহাররা।’ রোববার লিগের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। আর ১৫ অক্টোবর টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলবে তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।