চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
‘ভূলুন্ঠিত মানবতা, নির্যাতিত মুসলিম উম্মাহ, নির্বিকার বিশ্ববিবেক ও আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। জমিয়তের সভাপতি সাবেক মন্ত্রী আল্লামা মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাসের সভাপতিত্বে আজ বিকালে পল্টনস্থ ভোজন রেস্তোরায় এ গোলটেবিল অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব মুফতি শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডেন্ট মোস্তফা জামাল হায়দার, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুল করীম, জমিয়তের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গোলাম মহিউদ্দীন ইকরাম,বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পর্টি (জাগপা) মহাসচিব খন্দকার লুৎফুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পর্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগ এর মহাসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ মনি, ইসলামি ঐক্যজোটের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, খেলাফত আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব এ.এস শামীম, মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদ এস. এচ খান আসাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাউসারী, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি রেজাউল করীম, প্রিন্সিপাল মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, মুফতি জাকির হোসাইন খান, হাফেজ রশীদ আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা শামসুল আলম, তোফায়েল গাজালি, নিজাম উদ্দীন আল আদনান, কে. এম খায়রুল ইসলাম প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্যে মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, কাশ্মীর ও আসামে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দুরা, ফিলিস্তিনে ইহুদীরা ও চীনের উইঘোর ও মায়ানমারে বৌদ্ধভিক্ষুরা, আফগানসহ মধ্যপ্রাচ্যে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তি মুসলমানদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে। মজলুম মানুষের পক্ষে কথা বলা ফরজ। জাতিসংঘ-ওআইসিসহ বিশ্বমোড়লরা মানুষের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ সংকট থেকে উত্তরনের জন্য মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরি জনগণের উপর অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে। কাশ্মিরে গণহত্যা চলছে। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ এবং কাশ্মিরের স্বায়ত্বশাসন ফিরিয়ে না দিলে তার পরিণতি শুভ হবে না।
অন্যান্য বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগনের সেন্টিমেন্টের বিপরীতে গিয়ে কাশ্মীরি জনগণের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না। অন্যথায় খোদার গজব নেমে আসবে। ভারত মুসলমানদের বরদাশত করতে পারছে না, তাই তারা তারা নাগরিকপঞ্জি প্রকাশসহ নানা প্রক্রিয়ায় মুসলিম শূণ্য করতেই নির্যাতনে পথ বেছে নিয়েছে। আসামসহ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিনা উস্কানীতে মুসলিম নিধন, নির্যাতন, ধর্ষণ করছে কট্টরপন্থি হিন্দু সন্ত্রাসী ও জঙ্গিরা। বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থাগুলো মুসলিম নির্যাতনের এ দৃশ্য দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরসহ বিভিন্ন প্রদেশে মুসলমানদের উপর অব্যাহতভাবে নির্যাতনে সমগ্র বিশ্ব র্নিবাক । এমন লোমহর্ষক নির্যাতন কোনভাবে মেনে নেয়া যায় না। মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বিশ্বমুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে ।
তারা বলেন, কাশ্মিরে মুসলিম নির্যাতন বন্ধ না করলে বাংলাদেশের মুসলমানরা নিরবে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে বাংলাদেশের মুসলমানরা কাশ্মির অভিমুখে লংমার্চ করে মুসলমানদের রক্ষা করবে। তারা কাশ্মিরের স্বাধীনতা দেয়ার জন্য বিশ্বমুসলিমকে ভারতের প্রতি চাপ প্রয়োগেরও আহŸান জানান। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।