পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের বহু নারীকে ভারতে পাচার এবং তাদের অনেককেই সে দেশের যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারত ও বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাতে রয়টার্স জানায়, প্রতি বছরে কয়েক হাজার বাংলাদেশি নারীকে ভারতে পাচার করা হয়। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান নেই। গত আট বছরে শুধু ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ১৭৫০ জনকে, যাদের বেশিরভাগই নারী। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে এই সংখ্যা খুবই নগণ্য।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, পাচারের পর উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই এখন ভারতের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে দিনযাপন করছেন। আইন, বিচারিক ও কূটনৈতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে উদ্ধারের পরও বছরের পর বছর আশ্রয়কেন্দ্রে অপেক্ষার প্রহর গুনতে হয় ভিকটিমদের। ভারতে মানবপাচারের প্রতি ৪ মামলার একটির রায় হয়। আর বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত একটি আইনে দায়ের হওয়া মাত্র ৩০টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। একই ধরনের ৪ হাজারের বেশি মামলা ঝুলে আছে।
উল্লেখ্য, ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে প্রতিবছরই বাংলাদেশের নারী-পুরুষদের পাচার করা হয়। সেখানে নারীদের যৌনপল্লীতে বিক্রি এবং গৃহদাস হিসেবে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়। রয়টার্সের ঐ রিপোর্টে প্রিয়া নামের এক ভিকটিমের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। ১৫ বছর বয়সে এই মেয়েটি তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ভারতে পাচার হন। বাড়ি থেকে তাকে আনার সময় মেয়েটিকে বলা হয়েছিল গায়িকা হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়া হবে তাকে। এরপর প্রিয়াকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দেয়া হয় যৌনপল্লীতে। পরে মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় তিনি দেশে ফেরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।