গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ছাত্রদলের দুইজনকে আটক এবং দুইজনকে গুর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় সমবেত হয় এবং সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে কলা ভবনের সামনে থেকে আবরার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি অবকাশ ভবনের সামনে আসলে পেছন থেকে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ ঘটনায় জবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদল কর্মী জাহিদকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ আটক করে। এছাড়াও জবি ছাত্রদলের সহসভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফকে সুমনা হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ছাত্রদল সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও ছাত্রদলের ক্যাম্পাসে নিয়মিত যাওয়ার কর্মসূচি হিসাবে ক্যাম্পাসে গেলে ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা করে। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের ক্যাম্পাস, আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আমরা ক্যাম্পাসে নিয়মিত আসবো। এত কেউ বাধা দিল এর জবাব
ক্যাম্পাসেই দেয়া হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিলো তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য আমরা ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করেছি। তারা আমাদের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে জবি প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালকে বারবার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।