গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আখেরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্মদিন তথা ঈদে মীলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করার মাঝেই সকল সৃষ্টির কামিয়াবী ও কল্যাণ নিহিত। তাই সরকারের উচিত- রাসূল (সাঃ)মের আগমনের দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে এই সুমহান দিনটি এখন থেকেই পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ জন্য সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বিশেষ নির্দেশনা জারী করা।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের আকরাম খাঁ হলে আন্তর্জাতিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উদযাপন মজলিস আয়োজিত সেমিনারে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সভাপতিত্ব করেন, মুফতীয়ে আ’যম আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আজিজুল্লাহ। আলোচনায় আরো অংশ নেন, মুফতি মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, মুহম্মদ আবু বকর ছিদ্দীক হাসান।
সেমিনারে আলোচকগণ বলেন, যে কোন নিয়ামত লাভ করলে মানুষ খুশি হয়। যেমন, পরীক্ষায় পাশ করলে, প্রমোশন পেলে, সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে। তাই মানুষের উচিত, সকল সৃষ্টির মূল রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমনের দিনে যার যার সাধ্য অনুযায়ী আনন্দ প্রকাশ করা। আর এতেই রয়েছে কামিয়াবী হওয়ার সুযোগ। কারণ সৃষ্টিজগত যদি ঈদে মীলাদুন নবী তথা রাসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে না পেতো তাহলে মহান আল্লাহকেও পেত না। মানুষও সৃষ্টি হতোনা, নামায, রোযা, যাকাত, ইবাদত বন্দেগী দুই ঈদ কিছুই থাকতো না। তাই রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পৃথিবীতে আগমন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও সর্বাধিক আনন্দের বিষয়। তাই এ মহান দিন সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করা প্রত্যেক সৃষ্টির জন্য ফরয এবং ওয়াজিব।
অথচ দেখা যায়, এদেশে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সরকার যেভাবে অর্থ ব্যয় করে সেই তুলনায় ঈদে মীলাদুন নবী দিনকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, অর্থ ব্যয় করা হয় না। অথচ সরকারী, বেসরকারী সর্বমহলের উচিত সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা এবং আয়োজনে এই দিবসটি পালনে এখন থেকেই প্রস্ততি গ্রহণ করা। এ জন্য সরকারের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বিশেষ নির্দেশনা দিয়ে ১২টি বিষয় জারী করা।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় হলো, সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা। মাসব্যাপী ছুটি দেয়া। পাঠ্যপুস্তকে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত আহলে বাইত শরীফ উনাদের সুমহান জীবনী মুবারক বাধ্যতামূলক করা। সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগে ব্যাপকভাবে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনে নির্দেশনা জারী করা। স্বতন্ত্র শক্তিশালী গবেষণা কেন্দ্র এবং পৃথক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা করা। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আম্মাজানের নাত শরীফকে জাতীয় না’ত শরীফ হিসেবে ঘোষনা করা। ইসলামী তাহযীব-তামাদ্দুন নিয়ে মাসব্যাপী বিশেষভাবে প্রতিযোগীতা, মীলাদ মাহফিল ও তাবারুকের আয়োজন করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।