চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
বাজার থেকে মোরগ মুরগি কেনার পর ড্রেসিং করার ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ প্রচলিত কিছু পদ্ধতিতে মুরগির গোশত নাপাক হয়ে যায়। যা খাওয়া যাবে না। বাজারে জবেহ করা মুরগি ড্রেসিংয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে। আধুনিক মাসয়ালা হিসেবে সব মুসলমানদের এ মাসয়ালা জানা উচিত। নিচে তা উল্লেখ্য করা হলো।
মাসয়ালা : মুরগি গরম পানিতে চুবিয়ে ড্রেসিং করার যে পদ্ধতি চালু আছে, তার মধ্যে কিছু পদ্ধতি এমন আছে, যার মাধ্যমে মুরগি একেবারেই হারাম হয়ে যায়। আবার কিছু পদ্ধতি এমন আছে যার দ্বারা মুরগি হারাম হয় না।
হালাল পদ্ধতি : জবেহের পর মুরগির ভিতর-বাহিরের সব ময়লা বের করে গরম পানিতে চুবিয়ে ড্রেসিং করলে হালাল হবে।
হারাম পদ্ধতি : মুরগির ভিতরের ময়লাসহ চুবানোর কারণে ময়লা-আবর্জনার ক্রিয়ায় গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন হয়ে গেলে তা খাওয়া জায়েজ হবে না। তবে গরম পানিতে চুবানোর সাথে সাথেই তুলে ফেলায় ময়লা-আবর্জনার ক্রিয়ায় গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণ পরিবর্তন না হলে তা হালাল হবে।
বি.দ্র. ড্রেসিংয়ের পানি আগে থেকে মুরগির রক্ত বা বিষ্ঠা বা অন্য কোন কারণে নাপাক হয়ে থাকলে, সেই নাপাক পানিতে চুবানোর কারণে গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন হলে, সেই মুরগি হারাম হবে। গোশতের স্বাদ-ঘ্রাণে পরিবর্তন না হলে খাওয়া যাবে। (ফাতওয়ায়ে শামি ১/৫৪৪,আহসানুল ফাতাওয়া ২/৯৬)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।