পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
স্বাধীনতাকামী জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) আহ্বানে কাশ্মীরীদের ‘গণআজাদি পদযাত্রা’ নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছাকাছি জিসকুল এলাকায় পৌঁছেছে। প্রশাসন ও পুলিশ কনটেইনার, কাটাতার, বিদ্যুতের খুঁটি ও মাটি ফেলে মোজাফ্ফরাবাদ-শ্রীনগর হাইওয়ে বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই অবস্থান নেয়। ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের জনগণের প্রতি সংহতি জানানোর উদ্দেশে শুক্রবার পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মোজাফ্ফরাবাদে থেকে সীমান্তের দিকে এই পদযাত্রা শুরু হয়। হাজার খানেক মোটরসাইকেল নিয়ে কাশ্মীরীরা নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পদযাত্রা শুরু করেন। পদযাত্রার তৃতীয় দিন রোববার চকোঠির কাছাকাছি জিসকুল এলাকায় অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। আজাদী মার্চে তরুণদের পাশাপাশি কয়েক হাজার যুবক, বৃদ্ধ ও নারীরাও অংশ নিয়েছেন। শনিবার থেকে সীমান্তে সৈন্য বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। ভারতীয় নির্যাতনের ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছে বলে জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতারা জানিয়েছেন। শনিবার জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র ডনকে বলেন, চকোঠি থেকে আমরা যুদ্ধবিরতি সীমান্ত রেখা পেরিয়ে শ্রীনগর যাব। মুজাফফারাবাদের কমিশনার বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের দিকে ভারত সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও গোলাবর্ষণ করার আশঙ্কা রয়েছে, এতে নাগরিকদের মারাত্মক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে আজাদ কাশ্মীর থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে প্রবেশ করে তাদের সমর্থন বা সহযোগিতা না করতে পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শনিবার এক টুইট বার্তায় ইমরান খান বলেন, আমি দুই মাস ধরে অমানিবকভাবে অবরুদ্ধ ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরীদের দেখে তাদের সমকক্ষসঙ্গী আজাদ কাশ্মীদের যন্ত্রণা বুঝতে পারছি। কিন্তু কেউ যদি আজাদ কাশ্মীরের সীমান্ত অতিক্রম করে দুদর্শাগ্রস্থ ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে মানবিক সহযোগিতা বা সমর্থন দিতে যান, তাহলে ভারত তাকে নিয়ে খেলবে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে ইমরান খান বলেন, ভারত দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তাদেরকে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত ইসলামিক জঙ্গি তকমা লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।