গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের এক সন্তানকে সেখানে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে জড়িত হিসেবে অভিযুক্ত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, সরকার অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’ আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হচ্ছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানহাটে জ্ঞানেশ্বরী কালীমন্দিরে দুর্গা পূজার মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় সমবেতদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন।
‘কিন্তু একটি মহল এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। বিএনপি প্রচার করছে, ফেসবুকে ভারতবিরোধী স্ট্যাটাস দেওয়ায় নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বিএনপি সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করছে। আমরা আবরার ফাহাদের হত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। একইসঙ্গে আমরা এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির নিন্দা জানাই। আমরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অবসান চাই’ বলেন নওফেল।
উল্লেখ্য, রোববার রাত ২টার দিকে শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, আবরারকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন। পরে শিক্ষার্থীরা রাত ২টার দিকে হলের দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে তার লাশ পায়। তার হাতে, পায়ে ও পিঠে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ছাত্রলীগের ৯ নেতাকে আটক করেছে।
এদিকে শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা দুর্গাপূজা উপলক্ষে চট্টগ্রামবাসীর কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে এসেছি। এ উৎসব এখন শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এ উৎসব এখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমরা সবাই মিলেমিশে এ উৎসবকে একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করেছি।’
তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন বলেই আজ মধ্যরাত পর্যন্ত আমাদের মা-বোনেরা নিরাপদে-নিশ্চিন্তে দুর্গাপূজার উৎসব আনন্দের সঙ্গে উপভোগ করতে পারছেন না। উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে উঠেছে সেটি অব্যাহত রাখতে হবে। স্বার্থান্বেষী মহল যেন মানুষে-মানুষে বিভেদ তৈরি করতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল নগরীর আরও কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় উপমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক কাউন্সিল জহরলাল হাজারী, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অরবিন্দু পাল অরুণ, চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের কার্যকরী সদস্য রাহুল দাশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।