মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেলে যেতে হতে পারে । তার বিরুদ্ধে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে দ্য সানডে টাইমস খবর প্রকাশ করার পর তদন্তের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শার্লট এডওয়ার্ডস নামে পত্রিকাটির একজন কলামিস্ট একটি কলামে অভিযোগ করেন, ২০ বছর আগে সাংবাদিক থাকাকালীন বরিস তার একজন নারী সহকর্মীর শরীরে আপত্তিজনকভাবে হাত দিয়েছিলেন।
শার্লট লিখেছেন, ১৯৯৯ সালে স্পেকটেটর নামক একটি ম্যাগাজিনে সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন ব্রিটেনের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সে সময় সেই ম্যাগাজিনেরই একজন নারী সাংবাদিকের পায়ের রানে আপত্তিজনকভাবে হাত দিয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে এক টিভি ইন্টারভিউতে বরিসকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জবাব দেন, ‘না!’
এছাড়াও মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও সাবেক বান্ধবী জেনিফার আরকিউরির সঙ্গে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকটি তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে আরকিউরিকে পাঠানো বরিসের লিখিত বার্তা ও ই-মেইল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লন্ডন অ্যাসেম্বলি জিএলএ ওভারসাইট কমিটি।
২৪ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা এক চিঠিতে তাকে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই নির্দেশনার ব্যাপারে কোনো জবাব দেননি বরিস। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাব না দিলে বিকল্প ব্যবস্থা নেবে কমিটি। এমনকি কথোপকথনের সব নথি হস্তান্তর করতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্যও করা হতে পারে। এমনকি মার্কিন উদ্যোক্তার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে বরিসকে সামনাসামনি শুনানির জন্য ডাকতে পারে কমিটি। রোববার এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
কিন্তু এসব অভিযোগ গায়ে মাখছেন না বরিস। অভিযোগের ব্যাপারে স্পষ্ট জবাব দিতেও অস্বীকার করছেন তিনি। তিনি এখন ব্রেক্সিট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেশ অস্বস্তিতে পার করছেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। তাকে অভিশংসনের দাবিও উঠেছে ইতিমধ্যে। তার উপর নারী কেলেঙ্কারির মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে দ্য সানডে টাইমসের মতো পত্রিকা।
ওই নারী এ বিষয়ে অভিযোগ করেছিলেন কি না কখনও, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বরিস বলেন, ‘আমি আগে যা বলেছি, এখনও তাই বলছি। আর আমার মনে হয়, জনগণ এসব শুনতে চায় না। তারা জানতে চায়, আমরা তাদের জন্য ও দেশের জন্য কি করছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।