পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
'বিএনপির এমপিরা খালেদা জিয়ার আপসহীন নেত্রীর উপাধি খারিজ করতে গিয়ে ধরা খাইছেন' বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া শিশু কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় সংসদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
'বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি' শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যারা বিরোধী দলে কষ্টে আছি। তারা আলোর সন্ধান খুঁজছি। হয়তো বা কিছু একটা হবে। এটা করতে গিয়ে, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমাদের যে কিছু দায়িত্ববোধ আছে- সেই দায়িত্ববোধ আমরা ভুলে গেছি। আবার অতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কিছু কিছু নেতা জেলখানায় গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এটা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। তারা যে নেত্রীর মুক্তির জন্য খুব বেশী আন্তরিক, সেটা আমাদের ও জনগণের মধ্যে আশ্বস্ত করতে গিয়ে একটা জিনিস ভালো করেছেন। ম্যাডামের যে আপসহীন উপাধি আছে, সেটা খারিজ করতে গিয়ে ধরা খাইছেন। অথ্যাৎ খালেদা জিয়া সরকারের সাথে কোন সমঝোতা ও আপস করবেন না বা প্যারোলে মুক্তি নিবেন না। আর আমি মনে করি, খালেদা জিয়াকে অনুকম্পা করার যোগ্যতা বাংলাদেশের কারো নেই।
তিনি বলেন, হায়াত-মউত আল্লাহ হাতে। আমরা আমাদের চেষ্টা করবো। আর গণতন্ত্রের প্রতি যদি শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে গণতন্ত্রের মুক্তির আন্দোলন আমরা করবো। আন্দোলন যতটুকু করছি, আরো যতটুকু যৌক্তিক করার তা আমরা করবো। আর সেই আন্দোনের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়া মুক্তি লাভ করবেন।
গয়েশ্বর বলেন, শারীরিকভাবে দূর্বল থাকলেও বেগম জিয়া মানসিকভাবে সবল। আর তিনি মাথা নত করার ব্যক্তি নন। হয়তো বা আজকে প্রধানমন্ত্রীসহ যারা নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে বেগম জিয়ার মৃত্যু জেলখানায় চিরস্থায়ী করতে চান। আমি জানি না, আল্লাহ ভাগ্যে কি রাখছেন। আল্লাহ যদি তার মৃত্যু জেলখানায় রাখেন তাহলে বেগম জিয়ার ওজন শত শত হাসিনার চেয়েও বেশী হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েক জনের বক্তব্যে দেখলাম। সেই কথাতে বোঝা যায়, আদালত কতটা স্বাধীন। প্রতিদিন কত মামলায় রায় হয়। কিন্তু খালেদা জিয়ার মামলায় রায় হয় না!
ক্ষসতাসীনদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বর্তমান রাজনীতি নাই, আছে শুধু গুজব। আর দুর্নীতির অনুসন্ধানে অনেক খোঁজছেন। কিন্তু যারা করছেন, তারা কতটা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে তা জনগণের প্রশ্ন। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি লালন করেন ও প্রশ্রয় দেন- সেদেশের ডিপার্টমেন্টে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কতটা সক্রিয় হতে পারবে? দুই-একটা টোকাই এর গল্প-উপন্যাসের মতো নাটক তৈরী করে কিছু সময়ের জন্য চমক সৃষ্টি করা যায়। প্রকৃত অর্থে দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করা যায় না।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, অর্থনৈতিক দূর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতকে নিস্ব করার মধ্যে দিয়ে দেশকে দেউলিয়ায় পরিণত করেছে। এটা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য দুই-একটা টোকাই ধরে খুচরা নাটক করা হচ্ছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, দেশে ৭৬ হাজার কোটিপতি! এটা শুধু ব্যাংকের হিসেবের গচ্ছিত টাকার হিসাব অনুযায়ী। আর এই কোটিপতি প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে হয়েছে। যত টাকা বিদেশে গেছে, তাদের হিসাব হলে কোটিপতির সংখ্যা কত? আর এই কোটিপতিদের যদি তালিকা প্রকাশ হয় তাহলে আওয়ামী লীগ করে না, এমন কোন কোটিপতি পাবেন না! সুতরাং সাধারণ মানুষ নিস্ব হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, আজকে সারাদেশের প্রতিটি মানুষ এবং ক্ষমতাসীনরাও মারাত্মক আতঙ্ক ও গুজবের মধ্যে রয়েছে। কারণ গুজব কখনো কখনো মানুষকে আশান্বিত করে। আবার কখনো কখনো আতঙ্কিতও করে।
আজকে কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশ একটি গুজবের দেশে পরিণত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন গয়েশ্বর।
আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর শিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছড়াকার আবু সালেহ প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।