Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে শেখ রাসেল ও ব্রাদার্স

প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলের জনপ্রিয় আসর ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ‘বি’ গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে জায়গা পেল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। অন্যদিকে ‘সি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো ব্রাদার্স ইউনিয়ন। গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ৩-০ গোলে হারায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রকে। রাসেলের এই জয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো তারকা সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম আবাহনী। তারা প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধার কাছে হারায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো অলরেডরা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদার্স ২-১ গোলে হারায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে। ম্যাচে শেখ জামাল হারলেও তারা গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই শেষ আটে ব্রাদার্সের সঙ্গী হয়।
কাল রাসেল-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে শেখ রাসেল। তাদের লক্ষ্য ছিল একটাই, আর তা হলো মুক্তিযোদ্ধাকে হারাতে হবে। কারণ ‘বি’ গ্রুপে মুক্তিযোদ্ধা এক জয়ে তিন পয়েন্ট নিয়ে নিরপাদ অবস্থানে থাকলেও রাসেল ও চট্টগ্রাম আবাহনীর সংগ্রহ ছিলো এক পয়েন্ট করে। তাই কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে মুক্তির বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিলো না অলব্লুজদের। শেষ পর্যন্ত তারাই সফল হলো। মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে মহজ জয়ই তুলে নিলো। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও গোল পেতে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় শেখ রাসেলকে। ম্যাচের ২৯ মিনিটে প্রথম গোল পায় তারা। এসময়  দলীয় অধিনায়ক আতিকুর রহমান মিশুর পাস থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার জেন জে ইকাঙ্গা। আগুয়ান গোলরক্ষক নাঈমকে কাটিয়ে প্লেসিং শটে বল জলে পাঠান তিনি (১-০)। এর তিন মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ায় শেখ রাসেল। ম্যাচের ৩২ মিনিটে বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম শাহেদ দর্শনীয় শটে গোল করেন (২-০)। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও যেন গোলক্ষুধা কমে না বিজয়ীদের। ম্যাচের আবারো প্রতিপক্ষ জাল কাঁপায় তারা। এসময় শেখ রাসেলের ইকাঙ্গার ক্রস মুক্তিযোদ্ধার ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে চমৎকার শটে গোল করেন ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল (৩-০)। তিনি গোলে এগিয়ে থেকে বিশ্রামে গেলেও বিরতির পরও ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া থাকে শেখ রাসেল। কিন্তু মুক্তির ডিফেন্ডারদের দৃঢ়তায় আর গোল পায়না তারা। উল্টো গোলের সঙযোগ সৃষ্টি করে মুক্তযোদ্ধা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে বক্সের কাছেই বামপ্রান্তে ফ্রি কিক পায় তারা। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আহমেদ কলো মুসার বাক খাওয়ানো শট ছিলো নিশ্চিত গোল। কিন্তু গোলটা হতে দিলেন না রাসেল গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। বলটা জালেই ঢুকে যাচ্ছিল কিন্তু দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন লিটন। ৫৫ মিনিটে আবারো কলো মুসার জোড়ালো শট আটকে দেন এই গোলরক্ষক। এরপর বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল দু’দলই। কিন্তু কেউই গোল করতে পারেনি। ফলে ৩-০ গোলের জয়েই শেষ আট নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।
একই মাঠে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২-১ গোলে হারায় শেখ জামালকে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ইয়াসিন খানের দেয়া গোলে জামাল এগিয়ে গেলেও ৮২ ও ৮৩ মিনিটে হাইতিয়ান মিডফিল্ডার অগাস্টিন ওয়ালসনের জোড়া গোলে ম্যাচ জিতে নেয় ব্রাদার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ আটে শেখ রাসেল ও ব্রাদার্স
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ