Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিরোপার জিততেই লড়বে সাইফ-নোফেল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:৪৭ পিএম

ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টের শিরোপার জিততেই লড়বে সাইফ ও নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে এ দুই দল। কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি। ফাইনালের আগে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিন্ন লক্ষ্যের কথা জানান দু’দলের কোচ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন।

দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল গড়তে যেখানে কোটি টাকা খরচ করে অংশগ্রহণকারী, সেখানে ওই ক্লাবগুলোরই যুব দল গঠন করতে ঘাম ঝরে কিছু কর্মকর্তার। তেমনই এক কর্তা নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবের আকবর হোসেন রিদন। যিনি বিপিএলের সর্বশেষ আসরে এই নোফেলের হয়েই খেলেছেন। এখন তিনি সংগঠক ও কোচের ভুমিকায়। নোফেলের অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি গুছিয়েছেন দেশের এক জেলা থেকে আরেক জেলা ঘুরে। রিদন বলেন, ‘অনেক কষ্টে আমি নোফেলের অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি গুছিয়েছি। নোয়াখালীর ১১ জনকে নেয়ার পর বাকি ফুটবলারদের খোঁজে মাঠে নেমে পড়ি। এরপর বিভিন্ন জেলা থেকে বাকিদের সংগ্রহ করেছি।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিপিএল থেকে অবনমনের পর এই টুর্নামেন্টে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে গণনাতেও আনেনি কেউ। আন্ডার ডগ হিসেবেই শুরু করেছিলাম আসর। এটাই আমাকে ফাইনালে আসতে সাহায্য করেছে। তবে আমার বিশ্বাস ছিল ফাইনালে খেলবো। নিয়মাবর্তিতা ও পরিশ্রমই আমার দলকে ফাইনালে পৌঁছে দিয়েছে।’ সাবেক এই ফুটবলার আরো বলেন, ‘নানা প্রতিকুলতার মাঝেও কমলাপুর স্টেডিয়ামে ছেলেদের আমি দু’বেলা অনুশীলন করিয়েছি। ওরা খুব কষ্ট করে এতদূর এসেছে। তবে যেহেতু আমি গুরু কামাল বাবুর টেকনিক সবই জানি, ফাইনালে চেষ্টা করবো উনাকে হারাতে। আমার লক্ষ্য শিরোপা জেতা।’

অন্যদিকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের যুব দলটি গরীব ও এতিমখানার খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া বলে জানান কোচ কামাল বাবু। তিনি বলেন, ‘সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নাসির চৌধুরী আমাকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ছেলেদের নিয়ে দল গড়তে বলেছেন। আমি সুবিধাবঞ্চিত ও এতিমখানার ছেলেদের নিয়েই অনূর্ধ্ব-১৮ দলটি গড়েছি। যার মধ্যে ৮৫ ভাগ রিকশা ওয়ালাদের ছেলে। অনেক কষ্ট করেছে ওরা। এদের মধ্য থেকে আমি নয়জনকে বিপিএলের বিভিন্ন দলে খেলার সুযোগ করে দিয়েছি। ওরাই আমার সাফল্যের কারিগর।’ কামাল আরো বলেন, ‘দিন শেষে সবার ইচ্ছাই একই, সাফল্য তুলে আনা। আমরাও চাই সাফল্য পেতে। শিরোপার জয় করতেই লড়বে আমার ছেলেরা। আশা করছি তারাই সফল হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাইফ-নোফেল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ