Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প

কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তা সাজার অভিযোগ

মংলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


টাকা আত্মসাতের অভিযোগের পর এবার সরকারি কর্মকর্তা সেজে সার্টিফিকেট ও ছবি সত্যায়িত করেছেন মংলার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পে মাঠ সহকারি মো. মাসুদ শেখ। রোববার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ২০-২৫ জন ভুক্তভোগি মাঠকর্মির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন । তবে প্রকল্পে মাঠ সহকারি মো. মাসুদ শেখ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব ও অসহায়দের স্বাবলম্বি করার লক্ষে গঠন করেন আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প। এ প্রকল্পে সুন্দরবন ইউনিয়নের মাঠ সহকারি হিসেবে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যোগ দেন মো. মাসুদ শেখ । এ ইউনিয়নের সদস্যদের অভিযোগ মো. মাসুদ শেখ ২০১৬ সালে অডিটের কথা বলে পাশ বই তার কাছে নিয়ে আসে । এরপর অধিকাংশ বই এই মাঠকর্মি আর ফেরত না দিয়ে সঞ্চয় ও ঋনের টাকা গ্রহন করেন কিন্তু তা পাশ বইতে আর তোলা হয়নি । এভাবে প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে চলে আসছে। সম্প্রতি সুন্দরবন ইউনিয়নের মাঠ সহকারি মো. মাসুদ শেখের কাছে সদস্যরা পাশ বই ফেরত চাইলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসে এবং একের পর এক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে পড়তে থাকে ।
এ ব্যাপারে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সদস্য দুলাল রায় জানান, আমি ৩টি ছাগল বিক্রি করে ঋনের টাকা জমা করেছি । পাশ বই ফেরত নেয়ার পর দেখতে পাই আমার জমানো সঞ্চয় ও ঋনের বিপরীতে জমা হয়নি কিন্তু অনলাইনে জমা আছে। এর পরেও পুনরায় টাকা দাবি করলে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দাখিল করি। এর পরেই আমার টাকা বইতে তুলে দেন ।
এ ব্যাপারে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সদস্য বুলু বেগম ও ছবি বেগম জানান, সঞ্চয় ও ঋনের টাকা গ্রহন করেও জমা না করার কারনে আমরা বিভিন্ন মহলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি । এরপর মাঠকর্মি মাসুদ শেখ টাকা বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে মিমাংসার কথা জানিয়ে কাগজে সই রেখে দেন । পরে জানতে পারি ওই কাগজে বিভিন্ন লোকের নামে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ লিখে দাখিল করেছেন ।
সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তাপস হালদার জানান, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের মাঠ সহকারি মাসুদ শেখের বিরিুদ্ধে একের পর এক ভুক্তভোগি অভিযোগ দিচ্ছেন তাদের কাছে ।
মংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন জানান, মাঠ সহকারি মাসুদ শেখের বিরিুদ্ধে বিভিন্ন লোক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দিচ্ছেন। তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অনুরোধ করেছেন ।
এ ব্যাপারে মংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান জানান, তার বিরুদ্ধে কারন দর্শানের জন্য বলা হয়েছে । পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ