Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কেরানীগঞ্জে বাদল হত্যা মামলার ৩ আসামীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১১:১০ এএম

ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাদল হত্যা মামলার ৩ আসামী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার ১ আসামীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং ১ আসামী এখনো হত্যার দ্বায় স্বীকার করে কোন জবানবন্দি দেয়নি। তবে মামলার অন্য আরো ২ আসামী এখনো পলাতক রয়েছে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম আজ রোববার(২৯সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের এই তথ্যটি নিশ্চিত করে জানান, বাদল হত্যার মামলার মোঃ খোকন(৩০), মোঃ রাজন(২৭), মোঃ রনি(২৩), মোঃ বিশাল(১৯) ও হাজী স্চ্চাু(৬০) গত১১(সেপ্টেম্বর)ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্বসমর্পন করলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। মামলার এই ৫ আসামীকে ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে একটি আবেদন করা হলে আদালত তাদের মধ্যে মোঃ খোকন মোঃ রাজন, মোঃ রনি ও মোঃ বিশাল এই ৪ আসামীর ২দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন এবং অপর আসামী হাজী সাচ্চুকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন। ২দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার(২৭সেপ্টেম্বর) মোঃ খোকন, মোঃ রাজন ও মোঃ বিশাল আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকান্ডের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছে। তবে মোঃ রনি হত্যার দ্বায় স্বীকার করে আদালতে কোন জবানবন্দি দেয়নি। মামলার অন্য আরো ২ আসামী মোঃ বাপ্পী(২৮) ও মোঃ অনি(২৮) এখনো পলাতক রয়েছে। তবে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৯ আগষ্ট তুচ্ছ ঘটনার জেড়ধরে জিনজিরা ইউনিয়নের আমিরাবাগ বাদাম গাছতলা এলাকায় নিহত মোঃ বাদল হোসেনকে তার দোকান থেকে জোড়পুর্বক তুলে এনে রহমতপুর এলাকায় জনৈক হাজী মোঃ কাশেম মিয়ার বাড়ির নিচে একটি গাড়ির গ্যারেজে তাকে এলোপাথারীভাবে মারধর করে মামলার আসামীরা। খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় ওইদিন রাতেই নিহতের ছেলে মোঃ স্বপন হোসেন বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ৭জন এবং অজ্ঞাত নামা আরো ১০/১২জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী মোঃ স্বপন হোসেন জানান, তার বাবার হত্যা মামলার আসামীরা প্রভাবশালী ও বর্তমান সরকারদলীয় নেতা-কর্মী হওয়ায় মামলাটি নিয়ে একটি মহল বিভিন্নভাবে তাকে চাপ দিচ্ছে এবং নানাভাবে হুমকী-ধমকী দিচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জবানবন্দি

১৬ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ