Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ চালাচ্ছে : জাতিসংঘে রদ্রিগেজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ২:২৮ পিএম

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেসলি রদ্রিগেজ গোমেজ তার দেশের বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন। বাংলাদেশ সময় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। এসময় গুইদোর নাম উল্লেখ না করে তিনি ভেনেজুয়েলার ‘অভ্যুত্থান’ চেষ্টাকে দেশের অর্থনীতির পথে বাধা বলেও আখ্যা দেন। যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলার। এটাকে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে অভিহিত করেন রদ্রিগেজ।
নির্বাচনি কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকটের বিরুদ্ধে চলতি বছরের শুরুতে ভেনেজুয়েলায় বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভের সুযোগে ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্র্বতীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে অবৈধ দাবি করে নিজেকে বৈধ অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন তিনি। সে সময় এক ভিডিও বার্তায় আকস্মিক অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেন গুইদো। ভিডিওতে তার সঙ্গে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকেও দেখা যায়। পরে কথিত ওই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাতের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৫০টিরও বেশি দেশ গুইদোকে স্বীকৃতি দিলেও প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো সরকার অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা চালিয়েছেন গুইদো। মাদুরো বলেন, ভেনেজুয়েলা কখনোই সাম্রাজ্যবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করবে না।
জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেসলি রদ্রিগেজ গোমেজ বলেন, ‘কংগ্রেসের এই সদস্য (গুইদো) সাম্রাজ্যবাদের এক পুতুল। ভেনেজুয়েলার রাজনীতিতে তার অস্তিÍব নেই। তিনি এমন এক অপরাধী, যিনি ভেনেজুয়েলার শান্তি নষ্ট করেছেন। তার আত্মস্বীকৃতিকে এই অসম বিশ্বের অধিকাংশ সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত এটা এই দেশগুলোর কূটনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটা।’
তিনি বলেন, দারিদ্র্য ও অসমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা করছে ভেনেজুয়েলা। বিভিন্ন দেশের সরকার পরিবর্তন ও তাদের সম্পদ চুরি করতে চালানো অভিযানে কয়েক লাখ মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে তারা। তিনি এটাকে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে এই অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদের কারণে দেশটির আয় নয়গুণ কমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের কারণে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশটির অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
রদ্রিগেজ বলেন, কিউবা ও নিকারাগুয়ার নিজস্ব বিপ্লবের বিরুদ্ধেও তার সা¤্রাজ্যবাদী আঁচড় বসিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি বিশ্বের অন্যান্য স্বাধীন জাতির সঙ্গে আরও সহনশীলতা ও সহাবস্থান বজায় রাখার পাশাপাশি কম উগ্রতা প্রদর্শনের আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ