পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের দীর্ঘতম বেলাভূমি কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে দৃষ্টিনন্দন ঝাউবাগান সৃজন করা হচ্ছে। এতে সমুদ্রের প্রবল ঢেউ থেকে রক্ষা পাবে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা হাজার কোটি টাকার স্থাপনা-সম্পদ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বাগান সৃজন করছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণকালে ঝাউবাগান সৃজনের নির্দেশ দেন। ১৯৭২-১৯৭৩ অর্থবছরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন এলাকায় ৫৮৫ হেক্টর ঝাউবাগান সৃজন করা হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২৭৪ হেক্টর ঝাউবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপরও নতুন করে ঝাউবাগান সৃজনের উদ্যোগ নেয় কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। সমুদ্র সৈকত এলাকায় আগামী ৫ বছরে পৃথক দু’টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৪০ হেক্টর এলাকায় ঝাউবাগান সৃজন করা হবে। এছাড়া পুরাতন ঝাউবাগানের খালি জায়গায় ৮০ হাজার ঝাউ চারা লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সার্কেলের বন সংরক্ষক আবদুল আউয়াল সরকার ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ইনকিলাবকে জানান, গত ২০১৭-১৮ থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত তিন দফায় ৬৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা নতুনভাবে ঝাউবাগান সৃজনের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, শৈবাল পয়েন্ট, কবিতার চর, ডায়াবেটিস হাসপাতাল পয়েন্ট ও নাজিরের টেকসহ বিভিন্ন স্থানে ঢেউয়ের তোড়ে সৈকতের ঝাউবন সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় সরকারি-বেসরকারি সম্পদ চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
এছাড়া বিভিন্ন স্থানে দুষ্কৃতকারীরা অবৈধভাবে ঝাউগাছ কেটে ফেলায় এর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ কারণে কক্সবাজার রেঞ্জের হিমছড়ি টহল ফাঁড়ির বিটের অধীনে হিমছড়ি ব্লকের আমতলী ছড়া থেকে হেফজখানা পর্যন্ত ২০ হেক্টর এলাকায় ৫০ হাজার চারা, ইনানী রেঞ্জের সোয়ানখালী বিটের অধীনে সোয়ানখালী খাল থেকে রূপপ্রতি খাল পর্যন্ত ৪০ হেক্টর এলাকায় এক লাখ চারা, কক্সবাজার রেঞ্জের হিমছড়ি টহল ফাঁড়ির অধীনে হিমছড়ি ব্লকের হেফজখানা থেকে রেজু ব্রিজ পর্যন্ত ২০ হেক্টর এলাকায় ৫০ হাজার ও কক্সবাজার রেঞ্জের কস্তুরা ঘাট বিটের অধীনে নাজিরেরটেক থেকে বাগানপাড়া পর্যন্ত সর্বমোট ১০০ হেক্টর জমিতে আড়াই লাখ ঝাউ চারা রোপণের কার্যক্রম চলছে।
এসব চারা সযত্মে বেড়ে উঠলে একদিকে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে পর্যটকদের কাছে দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে। সবচেয়ে উপকৃত হবে মানবঢাল হিসেবে চিহ্নিত ঝাউবাগান। রক্ষা করবে সৈকত ঘেঁষে গড়ে ওঠা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ও সম্পদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।