পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সউদী আরবের দু’টি তেল স্থাপনায় হামলার জন্য আবারো ইরানকে দায়ী করেছেন। তিনি মার্কিন টিভি চ্যানেল এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সউদী তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে দাবি করেন, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ যোদ্ধারা এ হামলা চালায়নি বরং এটি ছিল একটি দেশের বিরুদ্ধে আরেকটি দেশের ‘যুদ্ধ তৎপরতা’। তিনি নিজে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক‚টনৈতিক উপায়ে ইরান সংকট সমাধানের চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করেন পম্পেও। তিনি বলেন, “তারপরও কিছু কাজ যদি করার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে তা করতেও আমরা প্রস্তুত রয়েছি।” তিনি এ বক্তব্যের মাধ্যমে প্রচ্ছন্নভাবে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কথা বুঝিয়েছেন। ইরানের বিরুদ্ধে নিজের বিদ্বেষী বক্তব্য উগড়ে দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ওয়াশিংটন যুদ্ধ প্রতিহত করার চেষ্টা করার পাশাপাশি সউদী তেল স্থাপনায় হামলা থেকে সৃষ্ট সংকট সমাধানের চেষ্টা করছে। পম্পেও আবারও মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা ক‚টনৈতিক উপায়ে সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার ভোর রাতে সউদী আরবের দু’টি তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। এতে ওই দুই স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং সউদী আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের এই হামলার জন্য সউদী আরব ও আমেরিকা ইরানকে দায়ী করে আসছে। ইরান শুরু থেকেই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলে এসেছে, আমেরিকা ও সউদী আরবের পক্ষে একথা বিশ্বাস করা কঠিন যে, ইয়েমেনের যোদ্ধারা খালি হাতে যুদ্ধ করতে এসে তাদের বিরুদ্ধে এতবড় হামলা চালাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, গত প্রায় পাঁচ বছর সউদী আগ্রাসনে জর্জরিত ইয়েমেনের আত্মরক্ষার্থে যেকোনো হামলা চালানোর ন্যায়সঙ্গত অধিকার রাখে। পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।