মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোটা বিশ্বের মানুষ। ধর্ম, মত নির্বিশেষে চলছে শ্রদ্ধা নিবেদন। একইসঙ্গে এ সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় অব্যাহত রয়েছে। এ হামলাকে সন্ত্রাস ও বিদ্বেষমূলক কর্মকা- বলে আখ্যা দিয়েছে ইসলামিক সোসাইটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা। এদিকে, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অরল্যান্ডো যাওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গত সোমবার রাতে অরল্যান্ডোর প্রাণকেন্দ্রে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। তাদের হাতে ছিল মোমবাতি আর ফুল। অন্যদের সঙ্গে সে জায়গায় সমবেত হন ইসলামিক সোসাইটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার ইমাম মোহাম্মদ মুসরি। তিনি বলেন, বিদ্বেষ, হত্যা আর ধ্বংসের মতাদর্শের বিরুদ্ধে মুসলিমরা এখানে সমবেত হয়েছেন। আমরা বিদ্বেষ, হত্যা আর ধ্বংসের মতাদর্শের নিন্দা জানাচ্ছি এবং মরণ ব্যাধিরূপে ছড়িয়ে পড়া এ ধরনের মতাদর্শের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিশ্বের সকল মুসলিম নেতা এবং কমিউনিটিকে আহ্বান জানাচ্ছি। অরল্যান্ডোর বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। নিউইয়র্কে স্মরণ অনুষ্ঠানে জড়ো হন হাজার হাজার মানুষ। সে সময় এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের আলো নিভিয়ে দেয়া হয়। ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে একই ধরনের শোক সমাবেশ হয়েছে। নিহতদের স্মরণে লন্ডনের সোহো এলাকায় মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। নিহতদের প্রত্যেকের স্মরণে একটি করে বেলুন ওড়ানো হয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজে সমকামীদের পতাকার মতো করে রঙধনুর রঙে আলোকসজ্জা করা হয়। একইরকম করে প্যারিসের আইফেল টাওয়ারও সেজেছিল রঙধনুর রঙে। বার্লিনে মার্কিন দূতাবাসের সামনে ১শ’রও বেশি মানুষ জড়ো জড়ো হয়ে নিহতদের স্মরণ করেছেন এবং শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরের পালস নাইটক্লাবে ঢুকে গুলি চালান ওমর মতিন নামক এক ব্যক্তি। এরপর তিনি নাইটক্লাবে অবস্থান করা লোকজনকে জিম্মি করেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, জরুরি সাহায্যের জন্য দেয়া ৯১১ নম্বরে ফোন করে ওমর নিজেই ওই হামলার কথা জানান। সে সময় ওমর নিজেকে আইএসের অনুগত বলে দাবি করেন। ওমর মতিনের কাছে একটি রাইফেল, একটি পিস্তল এবং দুটি সন্দেহজনক যন্ত্র ছিল বলে পুলিশ জানায়। স্থানীয় সময় আনুমানিক ভোর ৫টার দিকে সোয়াটের বিশেষ কমান্ডোরা জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য অভিযান চালান। ওই অভিযানে ওমর মতিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এদিকে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, ওমর মতিন কেবল আইএসই নয় আরো অনেক জঙ্গি সংগঠনের প্রতি অনুগত ছিলেন। বিবিসি, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।