Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপসাগরীয় অঞ্চলে আরো মার্কিন সৈন্য ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা

ইরানের দখল নেয়া হবে খুবই সহজ সিদ্ধান্ত : ট্রাম্প

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার জানিয়েছে, তারা উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি জোরদারে আরো সৈন্য পাঠাচ্ছে। সউদী আরবের তেল স্থাপনায় হামলার জন্যে ইরানকে দায়ী করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর সেখানে সৈন্য পাঠানো হচ্ছে। ট্রাম্প বলেন, অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় এ নিষেধাজ্ঞা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন করা হলেও এ ক্ষেত্রে তার সামরিক হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতিদ্ব›দ্বী সউদী আরবের তেল স্থাপনায় সপ্তাহান্তে তেহরান হামলা চালিয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা এমন কথা জানানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের কেন্দ্রিয় ব্যাংকের বিরুদ্ধে নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তেল স্থাপনায় হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম তাৎক্ষণিকভাবে অনেক বেড়ে যায়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক ইস্পার বলেন, এসব হামলা ‘নাটকীয়ভাবে ইরানের আগ্রাসন জোরদারের’ প্রমাণ দেয়। এর আগে গত জুনে ইরান আমেরিকার একটি গোয়েন্দা ড্রোন গুলি করে ভ‚পাতিত করে। পেন্টগন প্রধান বলেন, সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে উপসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক শক্তি আরো শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র ওই অঞ্চলে আরো সৈন্য পাঠাবে। ইস্পার বলেন, ‘সউদী আরবের অনুরোধের জবাবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেখানে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের দখল নেওয়া হবে তার দেশের জন্য খুবই সহজ সিদ্ধান্ত। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের রয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। আমি আগেও বলেছি, ইরানের অভ্যন্তরে প্রবেশ করা হবে খুবই সহজ একটি সিদ্ধান্ত। এটা হবে খুবই সহজ, সবচেয়ে সহজ বিষয়।’ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সউদী আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুটি বৃহৎ তেল স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালানো হয়। ওই হামলার পর সউদী আরবের তেল উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত শিয়াপšী হুতি বিদ্রোহীরা এ হামলার দায় স্বীকার করলেও এ ঘটনায় ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরব। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে তেহরান। এ নিয়ে তেহরানের সঙ্গে বাকযুদ্ধে লিপ্ত হয় ওয়াশিংটন। এর মধ্যেই ২০ সেপ্টেম্বর ইরান দখলকে খুবই সহজ সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করলেন ট্রাম্প। এদিন ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপের প্রয়োগের অংশ হিসেবে দেশটির ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। একইদিন সউদী-আমিরাতে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেয় পেন্টাগন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন ওভাল অফিসে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি হচ্ছে ইরানের অর্থের সর্বশেষ উৎস। এটা খুব বড়। আমরা এখন ইরানের অর্থের সব উৎস বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছি। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, সউদী-আমিরাতে বাড়তি সেনাসদস্য এবং সামিরক সরঞ্জাম মোতায়েনের বিষয়টিও কয়েক দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ট্রাম্প প্রশাসন। এএফপি, আল-জাজিরা, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ